Main Menu

মাদ্রাসায় জাতীয় সংগিতের প্রশিক্ষণ

+100%-


আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগিতের গাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় পাক্ষিক খবরের খোঁজে এবং সুরের ধারা শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। আখাউড়ায় কোন মাদ্রাসায় প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন করায় বিশিষ্টজনরা ভূয়সি প্রসংশা করেন।
পরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.ফোরকান আহামেদ খলিফার সভাপতিত্বে ‘জাতীয় সংগীতের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন।

খবরের খোঁজের নির্বাহী সম্পাদক সমীর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া থানার ওসি হাম্মাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী, ইকবাল হোসেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ,মো.নাছির উদ্দিন। এসময় মুক্তিযোদ্ধো খন্দকার জাহের,পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার, ব্যাবসায়ী দীপক, প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য সচিব জুটন বণিক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগিত প্রশিক্ষণ দেন সুরের ধারা শিল্পকলা একাডেমি’র পরিচালক সুজয় কর্মকার এবং পিয়াঙ্কা সূত্রধর।

এসময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ,মো.নাছির উদ্দিন বলেন, আগে মাঝে মধ্যে জাতীয় সংগিত গাইলেও। নতুন সভাপতির নির্দেশে গত ২০-২৫ দিন ধরে আমরা নিয়মিত জাতীয় সংগিত গেয়ে আসছিলাম। তবে তাতে শুদ্ধতার অভাব ছিল। আজকের এ আয়োজন আমাদের সেই অভাব পূরণ করেছে। তিনি বলেন,জাতীয় সংগিতের চর্চা করা আমাদের হক। তাই দেশের সকল মাদ্রাসায়ই প্রতিদিন জাতীয় সংগিতের মূর্ছনায় শুরু হওয়া উচিত।
মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত শরির চর্চা শিক্ষক মো.রাকিবুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংগিত গাইলেও শুদ্ধভাবে গাওয়া হতো না। ফলে বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তায় ছিলাম। আজ সেই অভাব পূরণ হলো।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন বলেন, জাতীয় সংগিত আমাদের চেতনার অংশ। যখনই আমরা জাতীয় সংগিত গাই তখনই ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের স্মৃতি ভেষে উঠে।
তিনি বলেন,জাতীয় সংগিত এবং মাদ্রাসা শিক্ষা কখনোই সাংঘর্ষীক নয়। বরং ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় সংগিতের চর্চ আমাদের কর্তব্য। তিনি প্রতিদিন জাতীয় সংগিত গাওয়ার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদের আহবান জানান।






Shares