Main Menu

শাহীনূর হত্যা, র‌্যাবের কমান্ডারসহ ১১জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা গ্রহনের নির্দেশ আদালতের

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শাহীনুর আলম হত্যা ঘটনায় র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এ.জেড.এম সাকিব সিদ্দিকী, ক্যাম্পের ৯ জন সদস্যসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় সরাসরি হত্যা মামলার নথিভুক্ত (রেকর্ড) করার  নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ( নবীনগর আদালত) নাজমুন নাহার। বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টায় মামলার শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১ জুন  রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ( নবীনগর আদালতে) নাজমুন নাহারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন নিহত শাহনুরের ভাই মেহেদী হাসান।


মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ এনামুল হক, ওই ক্যাম্পের আরো ৭ জন সদস্য এবং নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগরের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম-(৫৮) ও নবীনগরের মৃত শরাফত আলীর ছেলে আবু তাহের মিয়া-(৪৫)।

বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবি এডভোকেট খায়রুল আনাম বলেন, ‘আদালত নবীনগর থানার ওসিকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে এ মামলা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এর সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তাদেরও নির্দেশ দেন আদালত।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশের কথা শুনেছেন। আদেশ হাতে পৌছানোর পর মামলা লিপিবদ্ধ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মামলার আরজিতে বাদি মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ এপ্রিল তার ভাই শাহীনূর আলমকে বাড়ি থেকে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল গ্রেপ্তার করে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। পরদিন ৩০ এপ্রিল সকালে তাকে নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। ঔইদিন এই মামলার ৩নং আসামী মোঃ আবু তাহের মিয়া বাদি হয়ে শাহীনূর আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১ মে তাকে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। বাদি আরো অভিযোগ করেন, র‌্যাবের অমানুষিক নির্যাতনের ফলে শাহীনূর আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারা কর্তৃপক্ষ তাকে গত ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ৬ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীনুর আলম মারা যায়।

এদিকে  গত ৩০ এপ্রিল সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো র‌্যাবের প্রেসনোটে বলা হয়, নবীনগর উপজেলা সদরে চিরকুট পাঠিয়ে একাধিক বাড়িতে চাঁদা দাবি ও বিভিন্ন বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৯ এপ্রিল রাতে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের মহিউদ্দিন ওরফে মদন (৪১) কে গ্রেপ্তার করে। পরে মদনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বগডহর গ্রামের রহিছ মেম্বারের ছেলে শাহীনুর আলম-(৪৩) কে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা কারাগারের সুপার মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, শাহীনূরকে জেল হাজতে গ্রহন করার সময় তার শরীরে বেশ ‘আউট ইনজুরি’ ছিল। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাকে ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠাই। পরে সেখানে তার অবস্থার আরও খারাপ হলে, ওইদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে  প্রেরণ করা হয়। সেখানেই ৬ মে রাতে তিনি মারা যান।






Shares