Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দুই খুন

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক ::ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দুইজন খুন হয়েছে। জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ষোললোহঘর এবং সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা গ্রামে পৃথক এই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে মোঃ আশরাফুল ইসলাম-(১৫) ও শিশু মীম-(২)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ষোললোহঘর গ্রামের পূর্বপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পশ্চিমপাড়ার ভূইয়ার বাড়ির ১৫/২০জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পূর্বপাড়ার হোসেন মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা  হোসেন মিয়ার ছেলে ও নবম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আশরাফুল ইসলাম-(১৫)কে এলোপাতারি দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার ভাই জান্না মিয়া-(১৮), মা আলেয়া বেগম-(৩৬) ও হান্নান মিয়া-(৪৮) আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাম্মাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সদর উপজেলার সুতিয়ারা গ্রামে পিতার হাতে শিশু কন্যা খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শাহবাজপুর ব্রীজের নীচে তিতাস নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম ফাহমিদা আক্তার মীম-(২)।
জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের সুতিয়ারা গ্রামের আলমগীর মিয়া তার দুই বছর বয়সী শিশু কন্যা ফাহমিদা আক্তার মীমকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যায় উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার বড় ব্রীজের নিচ থেকে শিশু মীম এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর মীম এর সালমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার আগে অজ্ঞাত এক মোবাইল থেকে জানানো হয়, মীমের লাশ ব্রীজের নিচে পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি শিশুর পিতা ব্রীজের উপর থেকে তাকে তিতাস নদীতে ফেলে দেওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করার চেষ্টা করলেও সে কৌশলে সে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে আমাকে না জানিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকার মৈন্দ গ্রামে মনোয়ারা বেগম নামক এক মহিলাকে বিয়ে করে। এর জের ধরে হয়তো আমার বাচ্চাকে সে মেরে ফেলেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এস.আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।






Shares