Main Menu

নবীনগরে ‘তিতাস নদী বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও’-বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

+100%-

প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে  ফসলী কৃষি জমি ও ঐতিহ্যবাহি তিতাস নদী রক্ষায় অবারোও রাস্তায় নেমে এসেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীনগর সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে হাজারো মেহনতি মানুষ তিতাস নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে ৭ দিনের আলটিমেটার দিয়ে, কাজ না হলে নবীনগরকে অচল করার হুমকি দেওয়া হয়।

পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একটি প্রভাবশালী স্বার্থন্বষী মহলের ছত্রছায়ায় নবীনগরে একের পর এক পুকুর, খাল, বিল, হাওর বিল ও ফসলি কৃষিজমি ভরাট করে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে সুবিধাবাদী একটি শ্রেনী। আলমনগর গ্রামের ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ তিতাস নদীর সংলগ্ন বিশাল বগডহর হাওর বিলের ৩ একর ফসলী কৃষি জমির উপর পরিবেশ আইনকে উপেক্ষা করে বে-আইনীভাবে আহম্মেদ প্রাইভেট হাসপাতাল নামে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। বগডহর মৌজার ওই  বিশাল হাওর বিলে শতশত একর কৃষি জমি রয়েছে। এই বিলের কৃষিজমিতে চাষ হওয়া কৃষকের ধান বাংলাদেশের খাদ্যের চাহিদার বেশ অংশ পুরন করে। এই হাওর বিলের মাঝখানে আবাসন প্রকল্পের নামে ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা ঐতিহ্যবাহি তিতাস নদীকেই শুধু ধ্বংস করবে না, কৃষিজমি বিনষ্ট করে পরিবেশ নষ্ট করবে। এতে কৃষিজমি সংকুচিত হয়ে উৎপাদন কমে যাওয়া সহ নবীনগর উপজেলার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পরিবেশ ও নদীমার্তৃক মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের মারাত্মক বির্পযয় ঘটবে। এতে করে চরম পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে পরিবেশবাদীরা। এই আন্দোলনটি নাগরিক সমাজ গত বছরের ২৮এপ্রিল থেকে মানববন্ধন,স্বারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক আজও নড়েনি।

প্রতিবাদ সমাবেশে দ্রুত ওই ফসলী কৃষি জমির উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ বন্ধের দাবী জানানো হয়। সমাবেশ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে আগামী ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বল হয় ওই কৃষি জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নির্মান কাজ বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলননের মাধ্যামে নবীনগরকে অচল করে দেওয়া হবে। বক্তারা বলেন, প্রয়োজনে আমাদের জান দিয়ে পরিবেশ রক্ষায় কৃষকের কৃষি জমি ও তিতাস নদী বাঁচাবোই’। শামিম রেজার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউসুফ আলী, ইকবাল হোসেন রাজু, ওমর ফারুক, রাশেদুল হক কাজী সুমন, কবি বাবুল, নুর মোহাম্মদ, শক্কুর খান, রাজু আহম্মেদ, সুমিত চত্রবর্তী,স্বপন, মজিবুর, ফারুক আহম্মদ, সালাউদ্দিন, কামাল প্রমূখ। বক্তাবা আরো বলেন শুধু বগডহর হাওর বিলই নয়  গত কয়েক বছরের মধ্যে পৌর সদরের পদ্ম পুকুর, শেখ বাড়ির পুকুর, হাসপাতাল পাড়ার দফাদারের পুকুর, জমিদার বাড়ীর ২টি পুকুর, দানামিয়ার পুকুর, ভোলাচং কেটুবাবুর দিঘি, আলমনগর সড়কের পাশ্ববর্তী খাল, ও শ্রীরামপুর পূর্ব পাড়ার খাল ভরাট হয়ে গেছে।

এ সবকটিই নবীনগরের প্রায় শত শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরোনো পুকুর, খাল, দিখি হিসেবে পরিচিত। জনপ্রশাসন, সরকারের আইনরক্ষাকারী সংস্থা ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর নাকের ডগায় প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মচারির যোগসাজশে এক শ্রেনীর সুবিধাবাদীরা এলাকার পুকুর ও ফসলী জমিতে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভরাট প্রক্রিয়া চালায় বলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়না অভিযোগ এলাকাবাসীর।






Shares