Main Menu

আশুগঞ্জ গ্যাস কম্প্রেসার স্টেশনের কাজ পর্রিদশন করলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান

+100%-

শামীম উন বাছির: জাতীয় গ্যাস গ্রিডলাইনে গ্যাসের চাপ ও সরবরাহ বাড়াতে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য আশুগঞ্জ গ্যাস কম্প্রেসার স্টেশন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর।
খনি থেকে গ্যাস উত্তোলনের পর পাইপলাইনে দেওয়ার পর দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছতে গিয়ে গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে কমে যায়। কম্প্রেসার গ্যাসের এই চাপ বৃদ্ধি করবে। অত্যন্ত উচুঁমানের কারিগরী উৎকর্ষসম্পন্ন এই কমপ্রেসার স্টেশনটি চালু হলে দেশের সব সার কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সব অবকাঠামোতে গ্যাসের চাপ বাড়বে। দেশে গ্যাসের চাপ নিয়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলে যে সংকট রয়েছে তা সম্পূর্ণ কেটে যাবে । ইতিমধ্যে স্টেশন দুটির ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কমিশনিং কাজ সফলভাবে শেষ হলে আগামী মার্চ মাসের যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী এই স্টেশনের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর।  সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) কম্প্রেসার স্টেশনের কাজ পর্রিদশন করেন।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পরে রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি ও আশুগঞ্জ-বাখরাবাদ ৬১ কিলোমিটার পাইপ লাইন পরিদর্শন করেন । প্রায় ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের এ লাইন নির্মাণ কাজের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭শ’ ২৩ কোটি টাকা।
এ সময় জিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আল আলিম, রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক (কমপ্রেসার স্টেশন) আমজাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এবং হবিগঞ্জের মুচাইয়ে দুটি কম্প্রেসার স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ৩০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। পরপর দুই দফায় আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করেও উপযুক্ত দরদাতা পাওয়া যায়নি। । কিন্তু নির্ধারিত সময়ে দরপত্র আহবানের কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এক হাজার ১৯০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে এখন এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। তৃতীয় দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করে এখন ২০১৫ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। হবিগঞ্জের মুচাইয়ে কম্প্রেসার স্থাপনের পরিবর্তে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় স্থাপন করা হবে।






Shares