Main Menu

‘বুরহান শহিদ না জঙ্গি সেটাই বড় কথা হল?’ ফতিমার চিঠি মোদীকে

+100%-

imageবুরহান ওয়ানি কি শহিদ না জঙ্গি? কী মনে করেন ভূস্বর্গের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ যা-ই মনে করুন না কেন, বুরহানের আসল পরিচয়ের ঘেরাটোপেই কি বাঁধা পড়েছে কাশ্মীরের উন্নতির প্রশ্নটি। কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিয়ে আদৌ কি ভাবিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? মোদীকে লেখা একটি খোলা চিঠিতে এ রকম একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত প্রবাসী কিশোরী। আমেরিকার জর্জিয়ার বাসিন্দা ১৭ বছরের ফাতিমা শাহিন। উপত্যকার অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কাশ্মীরের মনের কথা শোনার জন্য মোদীর কাছে আবেদন করেছেন ফাতিমা।

গত ১০ জুলাই জর্জিয়া থেকে কাশ্মীরে এসেছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে। কিন্তু, নিজের মাটির যে ছবি দেখেন তাতে যারপরনাই হতবাক, ক্ষুব্ধ ফাতিমা। ৮ জুলাই যৌথ বাহিনীর হাতে হিজবুলের পোস্টার বয় বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর একেবারেই বদলে গিয়েছে উপত্যকার চেনা ছবিটা। উত্তাল উপত্যকায় মিছিল-বিক্ষোভ-সহ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ছবি হয়ে উঠেছে রোজকার কাহিনি। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হারিয়েছে বহু কাশ্মীরির প্রাণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্ফু জারি করা থেকে শুরু করে ল্যান্ডলাইন-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংবাদপত্র ছাপাতেও পড়েছে বাধা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করা হয়েছে একের পর এক কাশ্মীর সংক্রান্ত পোস্ট।

চিঠিতে ফাতিমা বলেন, “শ্রদ্ধেয় শ্রীমোদী, আমরা যদি সত্যিই কাশ্মীরের কথা ভাবতাম তবে নানা উপায়ে উপত্যকায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতাম না। আজাদি থেকে বঞ্চিত না করে তাদের মনের কথা শোনার চেষ্টা করতাম। সেটাই তো কাশ্মীরের মানুষ চাইছে। তাই না!”

প্রধানমন্ত্রীকে ফাতিমার জিজ্ঞাসা, “সংবাদের শিরোনামে আমি ফ্রান্সের নিসের হামলা, তুরস্কের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারতের বর্ষার খবর পর্যন্ত জানতে পারি। কিন্তু, কাশ্মীর সম্পর্কে খবর কোথায়? এই কারণেই আমার নিজের শহরে কী হচ্ছে তা কখনও জানতে পারি না।” ফাতিমার দাবি, “উপত্যকার মানুষকে নিয়ে কেউ ভাবিত নন। কারণ, কাশ্মীরের মানুষের কথা চিন্তা করলে বুরহান শহিদ না জঙ্গি, সেই পরিচয় নিয়ে এতটা মাথা ঘামাতাম না। উল্টে এটা বোঝার চেষ্টা করতাম, কেন এক জন মেধাবী ছাত্র কলম ছেড়ে হাতে বন্দুক তুলে নিলেন!”






Shares