Main Menu

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন লিংকে হফম্যান বুশ ননষ্টপ ট্রেন

+100%-

RAILডেস্ক ২৪:: দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন লিংকে হফম্যান বুশ (এলএইচবি) ব্রডগেজ কোচ দিয়ে বিরতিহীন (নন ষ্টপ) ট্রেন চালু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন কোচের এ ট্রেনটি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে চলতে সক্ষম হবে। অধিক গতিতে ট্রেনটি চালানোর জন্য অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনও সংযোজন করা হবে। থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ। মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়ার জন্য বৈদুতিক পয়েন্টও থাকবে।

ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এ ট্রেনটি উদ্বোধনের মাধ্যমে চালু করা হবে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এ ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে রাস্তায় কোথাও থামবে না। ট্রেনটিতে মোট ১৬টি কোচ থাকবে। আধুনিক কোচ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এ ট্রেন চালু করলেও পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন রুটে এসব কোচ দিয়ে নতুন ট্রেন চালু করা হবে। নতুন আধুনিক এ ট্রেনটির নাম ঠিক করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রেনটি (শুক্রবার ছাড়া) প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আর প্রতিদিন বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে।

রেলসূত্র জানায়, ১১ জুন রেলভবনে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গঠিত অগ্রিম পরিকল্পনার বৈঠকে টীনটির জন্য ৭টি নাম প্রস্তাব করা হয়। নামগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস, স্বাধীনতা এক্সপ্রেস, দ্বিতীয় সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সাগর এক্সপ্রেস, বে এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস ও ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস। ১৬টি কোচ নিয়ে গঠিত নতুন ট্রেন প্রস্তাবিত নামগুলো রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর দফতওে পাঠিয়েছেন। নামগুলো থেকে যেকোনো একটি অথবা প্রধানমন্ত্রী নতুন কোনো একটি নাম ঠিক করে দেবেন।নতুন এ ট্রেনটিতে বাংলাদেশের চাহিদা বর্তমান কোচগুলোর তুলনায় অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন এ ট্রেনটিতে আধুনিক বিশ্বেও ন্যয় আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি কোচের ভেতর ও বাইরের নান্দনিক উৎকর্ষের জন্যও কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের দেয়া চাহিদা অনুযায়ী কোচগুলোয় রং করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে এসব কোচে ওয়াইফাই সংযোগ দেয়া হয়েছে। নতুন এ কোচগুলোর ভেতরে বর্তমানের চলাচলকারী কোচগুলোর তুলনায় কিছুটা চওড়া হবে। এছাড়া দেশে চলমান প্রতিটি কোচে শোভন চেয়ার সর্বোচ্চ ৮৬টি থাকলেও এ ট্রেনটির প্রতিটি শোভন কোচে ১২০টি শোভন চেয়ার আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ভেতরে যাত্রীদের চলাচল ও আসন বেশি থাকায় বেশি পরিমাণ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।ষ্টেইনলেস ষ্টিলের তৈরি এ কোচগুলো তুলনামূলকভাবে ওজনে কম বিধায় পরিবহন জ্বালানি অনেক কমবে।

স্বাভাবিকভাবে বর্তমান ট্টেনগুলো ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারে। কিন্তু নতুন এসব কোচ সংযোজনের পর প্রাথমিকভাবেই প্রতিটি ট্রেন সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারবে। এতে করে যাত্রী পরিবহন ও চলাচলের বর্তমানের সময় অনেক কমে আসবে।

জানা গেছে, ট্রেনের কোচের মধ্যে প্রতিটি এসি কোচের সঙ্গে ৩টি ও নন এসি কোচের দুই প্রান্তে ২টি করে টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে একটি হাই কমোড ও অন্যটি প্লেইন কমোডের টয়লেট থাকবে। অসুস্থ ও সাধারণ সকল প্রকারের যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা এ সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।এসব কোচ স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক গতিতে চালানো সম্ভব হবে।তবে সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে। ফলে যাতায়াত সময় ও যাত্রীদের কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। এর মাধ্যমে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী চলাচলে আগ্রহ তৈরি হবে। ট্রেনে সংযোজিত এলএইচবি কোচের অর্থনৈতিক আয়ুস্কাল হবে কমপক্ষে ৪০ বছর। তাছাড়া অধিক তাপমাত্রা সহনশীল হওয়ায় এসব কোচ তুলনামূলক অনেক শীতল থাকবে। যাত্রীদের অধিক সুবিধা প্রদানের বিবেচনায় এসব কোচে কমপক্ষে ২টি ও এসি কোচের ক্ষেত্রে ৩ টি করে টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। টয়লেটে নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা চট্রগ্রাম রুটে নতুন এসব কোচের মাধ্যমে নতুন ট্রেনটি চালু করা হলে রেলওয়ের বর্তমান চেহারাই পাল্টে যাবে।

 






Shares