Main Menu

দলের লোকদের বেইমানির কারণে হেরেছি: আফজল খান

+100%-

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। পাঁচ বছর আগের নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোট হয়েছে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তার পরেও জয়ের আশায় থাকা ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের কাছে এই ফলাফল একটা বড় ধাক্কা। কেন পরাজয় হলো, তার কারণ অনুসন্ধান শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে।

কথা হয়েছে সীমার বাবা আফজল খানের। ২০১২ সালের নির্বাচনে তিনি হেরেছিলেন সাক্কুর সঙ্গে। এবার হেরেছেন তার মেয়ে সীমা।

পাঁচ বছরের ব্যবধানে একই ফলাফল-যেখানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে নৌকার জয়জয়কার সেখানে কুমিল্লায় এমন ফলাফলকে কীভাবে দেখছেন-জানতে চাইলে আফজল খান  বলেন, ‘রেজাল্টতো গণমাধ্যমে দেখছেন। কী কারণে হারছি সেটাও বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজনের বেইমানির কারণেই এটা হয়েছে।’

কে কে বেইমানি করেছে- এমন প্রশ্ন করা হলে আফজল খান বলেন, ‘আমি কিছু বলবো না।’ এ কথা বলিই ফোন কেটে দেন তিনি।

২০১২ সালের মতোই এবারের নির্বাচনের আগেও কুমিল্লায় আফজল খানের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের পুরনো দ্বন্দ্বের কথা উঠে এসেছে গণমাধ্যকে। কারণ, এবার আফজল খান ভোটে না দাঁড়ালেও নৌকা প্রতীক ছিল তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জে যেভাবে শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীর দ্বন্দ্ব মিটেছে, একইভাবে মিটবে আফজল বাহারের দ্বন্দ্বও।

আফজল আর বাহারের দ্বন্দ্ব মিটেছে-এমন কথা বলাবলি হচ্ছিল ভোটের আগে। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনাকারী নেতারা এখন বলছেন, তারা যেটা ভেবেছেন সেটা সঠিক ছিল না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য (বাহাউদ্দিন বাহার) এখানে বিরোধিতা করেছেন, সেটা সবাই বলছে, আমাদের পর্যবেক্ষণও তাই। তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে আমাদের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে, আমাদের প্রার্থীর সমর্থকদেরকে নানাভাবে ডিস্টার্বও করার চেষ্টা করেছে। সকালে ছয়টি কেন্দ্রে আমাদের কোনো এজেন্ট ছিল না। এগুলো আমরা কেন্দ্রকে জানবো। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’

কুমিল্লা আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা বাহারের সঙ্গে দুপুরে কথা হয়েছে ঢাকাটাইমসের। তিনি সীমার জয় কামনা করে বলেছিলেন, ‘সীমা তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। এখানে বিকল্প চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর জন্য আমরা লড়াই করছি। আশা করছি নৌকা জয়ী হবে।’

কুমিল্লায় সীমা হেরেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্বাচনী এলাকাতেও। নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ করে এমন একটি সংস্থার হিসাবে, মুস্তফা কামালের এলাকায় সীমার চেয়ে সাক্কু ভোট বেশি পেয়েছেন চার হাজার। এটাও আওয়ামী লীগের হারের একটি কারণ।সূত্র






Shares