Main Menu

চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আশরাফ

+100%-

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।

এরআগে সকাল ১০ টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয় মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারি মুফতি মাওলানা আবু রায়হান তার জানাজা পড়ান। জানাজায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ অংশ নেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা এবং নানা পেশাজীবী মানুষ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ ভবন চত্ত্বরে মরহুম সৈয়দ আশরাফকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সাধারণ মানুষ, নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার মধ্য দিয়ে রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এর আগে তিনটি নামাজে জানাজা শেষে রোববার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানে এসে পৌঁছায়। দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে চিরবিদায় জানাতে উপস্থিত হতে থাকেন বনানী কবরস্থানে।

এদিকে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া মাঠে দ্বিতীয় জানাজা, পরে ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করানোর পর কবরকে ঘিরে শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা নিয়ে উৎসুক জনতার ভিড় করে আছেন চারদিকে। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানাচ্ছেন অনেকেই।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাবার দেখানো পথেই হেঁটেছেন রাজনীতির দীর্ঘসময়। অথচ এত সমৃদ্ধময় জীবনগল্পে আত্মঅহমিকার লেশমাত্র ছিল না তার। বিনয়ী, মৃদুভাষী আর বিচক্ষণতার মধ্য দিয়েই তিনি সকলের ‘আশরাফ ভাই’ বলে পরিচিতি পান। তাকে হারিয়ে কাঁদছে মানুষ, কাঁদছে রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।

গত বৃহস্পতিবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। কয়েক মাস ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শনিবার তার মরদেহ দেশে আনা হয়।






Shares