Main Menu

চলেই গেলেন রাজীব

+100%-

দুই বাসের মধ্যে পড়ে হাত হারালেও বেঁচে ছিলেন রাজীব হোসেন, চিকিৎসকরাও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন প্রাণান্ত। কিন্তু সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে মারা গেলেন রাজীব হোসেন। মস্তিষ্কের আঘাত তাকে নিয়ে গেছে না ফেরার দেশে। সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।

নিহত রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তাদের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসকেরা রাজীবের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেন। সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না রাজীবকে।’

গত ৩ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে মধ্যে পড়ে একটি হাত হারানোসহ মাথায় গুরুতর জখম হয়েছিল তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের।

শমরিতা হাসপাতাল থেকে পরদিনই রাজীবকে নেওয়া হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে; অবস্থার অবনতি ঘটলে এক সপ্তাহ আগে তাকে নেওয়া হয়েছিল লাইফ সাপোটে।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। পড়ালেখার ফাঁকে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে নিজের আর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ভাইয়ের খরচ চালানোর সংগ্রাম করে আসছিলেন এই তরুণ।

গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে বিআরটিসির যাত্রী রাজীবের ডান কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথার সামনে-পেছনের হাড় ভেঙে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের সামনের দিকে আঘাত লাগে। প্রথমে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে পরে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে।






Shares