Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা,দুইজন গ্রেফতার,ঘাতকদের বাড়ি ঘর ভাংচুর

+100%-

খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা প্রতিনিধি ::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে  গত রবিবার সন্ধ্যায় ৭টায় সিএনজিতে গাঁজা বহনের প্রতিবাদের  বিরোধে মামুন মিয়া(৪২) নামে ব্যবসায়ীকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়িতে আসা পথে ধরে নিয়ে গাজাঁ ব্যবসায়ী কুদ্দুছ মিয়া কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত মামুন মিয়া একজন মাছ ব্যবসায়ী  ছিলেন। তিনি নোয়াপাড়া গ্রামের- নুরুল ইসলামের বড় পুত্র। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় নিহত মামুন মিয়ার সিএনজি গাড়িতে ভারতীয় অবৈধ গাজাঁ বহন করায় পাশের  কুইয়াপানিয়া  গ্রামের ফিরোজ মিয়ার পুত্র মাদক ব্যবসায়ী কুদ্দুছ মিয়া,জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ির পাশে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে।মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি সংলগ্ন  রাস্তায় কথা কাটকাটি এক পর্যায়ে ফিরোজ মিয়াসহ তাঁর ছেলে কুদ্দুছ,জাহাঙ্গীর,পুত্র বধু নাজমা  তুলে নিয়ে বাড়ির উঠানে দাঁ,কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। খবর পেয়ে জনি মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জনিকে এলোপাথারী পিটায় । পরে বাড়ির লোকেরা মামুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিহত মামুনের  স্ত্রী লিপি আক্তার লাশের পাশে আহাজারী করে আমাদের প্রতিনিধি কে জানান, আমার চোখের সামনে তুচ্ছ ঘটনায় আমার স্বামীকে তারা  নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাদের ফাঁসি চাই। নিহত রফিকুলের ১শিশু পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহতর বোন মিনা বেগম জানায়, আমি আইনমন্ত্রীর কাছে আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদেও বিচার ও ফাঁসির দাবী করেছেন।
সোমবার বিকালে মামুনের লাশ বাড়িতে আসলে পারিবারিক করস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।মামুনকে এক নজর দেখার শত শত মানুষ নিহত মামুনের বাড়িতে ভিড় জমায়েত হয়।
কাপাসিয়া থানার এস আই মোরশেদ আলম জানান, নিহত মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে এবং  হত্যা মামলা আসামী ফিরোজ মিয়া ও পুত্র বধু নাজমা আক্তারকে বর্ডারগার্ড ও পুলিশ  বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুইয়া পানিয়া বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী পিলার নং-২০৩৭,৪-এস ও ৫এস এর মধ্যেবর্তী স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

অপর দিকে মামুনের হত্যার সংবাদে এলাকাবাসী  ঘাতক ফিরোজ মিয়া,কুদ্দুছ ও জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে গিয়ে সোমবার বিকালে বাড়ি ঘর কুপিয়ে ভাংচুরসহ জিনিষপত্র,লেপ তোষুক,মালামাল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।






Shares