Main Menu

মাদকসেবী যুবকদের দাপটে জনগণ অতিষ্ঠ জিরা বস্তার ভিতরে ভারতীয় গাঁজা,ফেন্সি ও শাড়ি পাচার

+100%-

খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা প্রতিনিধি  :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্ত এলাকা কসবা। এই কসবা সদরে ইদানিং মাদকসেবী যুবকদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষসহ রাস্তা পাশে গরীব দোকানিরা প্রতিনিয়ত অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রটি জানান।এই মাদকসেবী যুবকদের মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মচারী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সন্তানসহ আপনজনরা। তাই কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। আবার কেউ প্রতিবাদ করলেই থানা পুলিশের মাধ্যমে মিথ্যা মামলার ভয়ভিতির হুমকি প্রদানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে পড়েছে বলে আনোয়ার হোসেন নামে এক দোকানী অভিযোগ করেছেন। কসবা থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে অবশেষে ভাল হওয়ার অঙ্গিকারে মিমাংসা হয়েও তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুনরায় অপতৎপরতা চালানোর বিষয়টি প্রকাশ্য রুপদান করেছে বলে ঐ মামলার বাদী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে।  পরিশেষে গত ৬ জুলাই রোববার সকালে দুই পক্ষের সৃষ্টি ঘটনাটি উপস্থিত সভায় ১ম পক্ষ আনোয়ার,সুমন ও ২য় পক্ষ লিটন ও কামালের এক অঙ্গিকানামায় যৌথ স্বাক্ষরে শান্তী কল্পে সমস্যা মিমাংসা করা হয়। ঊভয় পক্ষদ্বয় আগামীদিন গুলোতে শান্তী বসবাসসহ এক অপরের প্রতি পূর্বের বা কারোর ইংগিতে অঘটন সৃষ্টি করবে সেই পক্ষই দায়ভার গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেই যৌথ স্বাক্ষরে মিমাংসায় মিলিত হয়।ইদানিং পরিলক্ষিত হয় যে, যুবকদের ছোট খাটু ও তুচ্ছ ঘটনা এবং মাদক সেবনের অর্থ সংগ্রহকে কেন্দ্র করেই সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলে শিক্ষিত সমাজ দাবী করছেন। তাছাড়া অভিভাবকরা তার সন্তানের প্রতি দৃষ্টি না দেওয়ার ফলে  যুবকরা সামাজিক পরিবেশ  নষ্ট করার প্রধান কারণ বলে দাবী করছেন সচেতনমহল।
অপর দিকে জিরা বস্তার ভিতরে ভারতীয় গাঁজা,ফেন্সি ও শাড়ি ব্যাপক ভাবে পাচার হচ্ছে  বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে এই মাদকসেবী যুবকরা নেশা পানের জন্য কসবা সদর এলাকার রাস্তা পাশে ফুটপাতের গরীব দোকানীদের উপর নিরব চাঁদাবাজির অপতৎপরতা বৃদ্দি করেছে। এই যুবকরা মাদক সেবনের জন্য দোকান বাকি,মোবাইলসেট,হাওলাদ টাকা নিয়ে যাওয়ায় তাদের এখন পেশাদারী হয়ে দাঁড়িছে বলে দোকানিরা জানান।তারা অধিকরাত পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান সহ রিক্্রাশা নিয়ে ২/৩ জনের সংঘবদ্ধ হয়ে মাতালের মত চলাফেরা করেন। তাদের একটা বিশাল সিন্ডিকেট আছে বলে সূত্রটি জানান। মাদকসেবী যুবকরা নেশাপানের জন্য চুরি,ছিনতাই,বিভিন্ন প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। তারা গায়ে পড়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাল ছেলেদেরকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেশা পান করায় তাদের এখন পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যায়।
আর তাদেরকে সেল্টার দিচ্ছে কসবা সদরের কিছু প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি,রাজনীতি দলের নেতাসহ কিছু অসাধু লোক বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। মাদকসেবী যুবকদেরকে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হলে প্রকাশ্য স্কুলগামী ছেলে মেয়ে-পথযাত্রীরা রাস্তায় নিরপাদায় বের হতে পারবে না বলেও কথা উঠেছে।তাই মাদক প্রতিরোধ করতে হলেই এই নিশাচর মাদকসেবী যুবকদেরকে রাস্তায় ও অধিক রাত চলাচল করার সঠিক কারণ তদন্তক্রমে পুলিশি গ্রেফতার করলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে স্থানীয় সচেতনমহল অভিমত ব্যক্ত করেন। আবার এই প্রতিরোধের নামে পুলিশি বাণিজ্য বা দালালীসহ নিরহ যুবকরা যেন হয়রানি না হয় চোখ কান খোল রাখতে হবে বলে এলাকার সচেতনমহল তাও মত প্রকাশ করেছেন।
কসবায় ইদানিং মাদক ব্যবসা,মাদক সেবী যুবকদের  অপতৎপরতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিরোধ কল্পে থানা পুলিশের  ভূমিকা নিয়েও সচেতন মহলের মাঝে নানাহ প্রশ্ন উঠেছে। অপর দিকে দেশের  মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি তার কসবা উপজেলা মাদক মুক্ত করার ঘোষণা করেছেন। আর মাদক ব্যবসায়ী,সেবনকারীদের সাথে আপোষ করবে না বলে প্রতিটি জনসভায় ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা দরকার তা তা করার জন্য এলাকাবাসী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যতœসহকারে  প্রতিরোধে ঝাপিয়ে পড়া এখনই সময় বলে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।আর কসবা সদর এলাকার সুধী সমাজ,সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন গুলো  মাদক প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। এই দিকে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান কোনো মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা পুলিশ গ্রহণ করে না। তাই মাদকের সাথে কোনো আপোষ নেই বলে জানান। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ভারতের জিরা কসবা সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন বলে বিশেষসূত্রটি জানান।কিন্ত জিরার বস্তার ভিতরে ভারতীয় গাঁজা,শাড়ী,মদ,ফেন্সিডিল ব্যবসা চোরাকারবারীরা বায়েক,জয়নগর,কসবা সদর,হাকর,আকাবপুর প্রমুখ স্থান  দিয়ে ব্যাপক ভাবে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রটি জানান। থানা পুলিশের জালে তেমন হারে আটকা না পড়লেও সীমান্ত বর্ডার গার্ডের জালে আটকা পরার বিষয়টি জনমনে প্রশ্ন উঠেছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। কসবা সদরে মাদকসেবী যুবকদের দাপটে জনগণ অতিষ্ঠ আর  জিরা বস্তার ভিতরে ভারতীয় গাঁজা,ফেন্সি ও শাড়ি পাচার দেখতে চাই না। সঠিক প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা কল্পে জনপ্রতিরিা এগিয়ে আসবে বলে সচেতনমহল প্রত্যাশা করছেন।






Shares