Main Menu

সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ আনোয়ার হোসেনের লাশ দাফন

+100%-

রাঙামাটিতে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনষ্টেবল আনোয়ার হোসেনের লাশ তার    গ্রামের বাড়ি কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পুলিশ কনষ্টেবল আনোয়ার হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মা মনোয়ারা বেগম বার বার কান্নায় মুর্ছা যাচ্ছেন। তার বাবা কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত পুলিশ কনষ্টেবল কবির আহমেদ বাকরোদ্ধ হয়ে পড়েছে। বড় বোন তাছলিমা বেগম জানান, মোবাইল ফোনে ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসবেন বলে মায়ের সাথে কথা হয়েছিল। কিন্তু আমার ভাই বুধবার রাতেই বাড়িতে এসেছে লাশ হয়ে। মা-বাবার বড় স্বপ্ন ছিল আনোয়ার হোসেনই একদিন আমাদের সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু বিধির বিধান সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেল।

জানা যায়, কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের কবির আহমেদের পুত্র আনোয়ার হোসেন ২০১০ সালে এস.এস.সি পাশ করার পর ২০১২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ পুলিশের কনষ্টেবল পদে যোগদান করে।

উল্লেখ্য গত বুধবার (৫ মার্চ) সকালে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাই হাট বাজারের পাশে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ির মেসে গরম পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ কনষ্টেবল আনোয়ার হোসেনের সহকর্মী ও ফাঁড়ির মেস ম্যানেজার মোস্তাফিজ ওরফে মুক্তাদিরের কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে মুক্তাদির তার কাছে থাকা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে তাকে পর র্প তিন রাউন্ড গুলি ছোড়লে, একটি গুলি আনোয়ার হোসেনের তলপেটে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দীঘিনালা সেনা জোন হাসপাতালে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেনা বাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারে চট্রগ্রামের সিএমএইচে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন মারা যান। ওই দিন রাত ২ টায় তার লাশ পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় গ্রামের বাড়ি কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামে আনা হয়।






Shares