Main Menu

লিমা হত্যার আসামী স্বামী স্ত্রীকে বাচাঁতে মরিয়া প্রভাবশালীরা

+100%-

কসবসা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় লিমা আক্তার (১৪) নামের এক কাজের মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলা সদরের শীতলপাড়াস্থ আবদুল হাইয়ের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। একই সাথে গৃতকর্তা আবদুল হাই (৩৭) ও তার স্ত্রী রিতা ইসলামকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় যে বাসায় লিমা কাজ করতো সে বাসার গৃহকর্তা আব্দুল হাই ও তার স্ত্রী রিতা ইসলামকে আটক করেও জেলা আদালদ কর্তৃক জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এই দিকে লিমার রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা থেকে দুই দম্পতিকে বাচাঁনোর জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদেও দৌরঝাপ দিচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের শীতলপাড়াস্থ তাজুল ইসলাম মুতি ডিলারের বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে তার মেয়ে রিতা ইসলাম সহ অবস্থান করতো স্বামী আবদুল হাই। ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের গানই গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে লিমাকে বাসার কাজের জন্য রাখেন আবদুল হাই। দীর্ঘ ৬মাস ধরেই লিমা কাজের মেয়ে হিসেবে তাদের সাথে অবস্থান করছিলো। মঙ্গলবার রাতে বাসার জানালার গ্রিলের সাথে গলায় উড়না পেচিয়ে লিমা আত্মহত্যা করে বলে আবদুল হাই ও তার স্ত্রী জানায়। তবে নিহত হওয়ার কোন কারণ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। বাসায় থেকে লিমাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। যারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল এর পর লাশের পাশে কাউকে দেখা যায়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।  
খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ লিমার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের গলায় কালো চিহ্ন পায় পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে লিমার মৃত্যুর সাথে জড়িত সন্দেহে গৃহকর্তা আবদুল হাই ও তার স্ত্রী রিতা ইসলামকে পুলিশ আটক করে জেলা আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত কর্তৃক দুই দম্পতিকে আদালত থেকে জেলাকারাগারে প্রেরণ করেন।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আবদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘লাশ মর্গে সকালেই পাঠানো হয়েছে।এবং রাতেই লাশ ময়না তদন্ত শেষে কসবা থানা চত্বরে এন রাখা হয়েছে তার অভিভাবকরা আসার পর তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।তাই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে আটক করা করে জেলা আদালতে প্রেরণের পর আদালত তাদেরকে জেলাকারাগারে প্রেরণ করেছে। তিনি স্থানীয় সাংবাদিককে প্রসংগক্রমে জানান আত্বহত্যা করার যে লক্ষণ একটি লাশে থাকার কথা সেই লক্ষণ এই শিশু লিমার দেহের মাঝে নেই, তাই ময়নাতন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর  সব রহস্য উদঘাটন হবে। এই ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান।’এই দিকে  নিহত শিশু লিমার প্রকৃত ঘটনাটিকে ধামাচাপা ও আটক দুই দম্পতি আব্দুল হাই ও রিতা ইসলামকে বাচাঁনোর জন্য কসবার একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। ঐ প্রভাবশালী মহল শিশু লিমা আত্বহত্যা করেছে বলে প্রভাকান্ড চালানো হচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। অপর  গতকাল বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত লিমার রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা থেকে গ্রেফতার কৃত আব্দুল হাই ও রিতা ইসলামকে রক্ষা করতে লিমার পদের সাথে মোটা অংকের লেনদেনের একটা আপোষ নামার অলিখিত চুক্তি করেছে  রিতা ইসলামের পরিজনরা বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। এই দিকে কাজের মেয়ে শিশু লিমার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সারা কসবায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই টা  আত্বহত্যা  নয়, এই পরিকল্পিত হত্যা বলে এলাকার রাস্তা ঘাটে, চায়ের দোকানপার্টে লোকজন সর্বস্থানে বলাবলি করছে।  কসবার সচেতন মহলের দাবী আর যেন কোন মায়ের বুক থেকে এই ভাবে অকালে আর ঝড়ে পড়ে  গিয়ে খালি না হয় । শিশু লিমার রহস্যজনক মৃত্যুর প্রকৃত খুনীদের দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার হয়।






Shares