Main Menu

কসবায় গ্যাস সংযোগের দাবীতে আগামী ২০ জুন পূর্বাঞ্চল রেলপথ অবরোধের ঘোষণা

+100%-
প্রতিনিধি-ব্রাাহ্মণবাড়িয়ার সালদা গ্যাস কসবায় সংযোগের দাবীতে সর্বদলীয় গ্যাস সংযোগ বাস্তবায়ন পরিষদের ডাকা সালদা গ্যাসক্ষেত্র ঘেরাও কর্মসূচি গত বৃহস্পতিবার পুলিশী বাধার মুখে পালিত হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ২০ জুন কসবায় পূর্বাঞ্চল রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন পরিষদের নেতারা। এর আগে গত ৬ জুন মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও সমাবেশের পর সালদা গ্যাসক্ষেত্র ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়ে ছিলেন বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা। কিন্ত এই ডাকে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি এলাকাবাসীর। তবে ২০ জুন রেলপধ অবরোধ কর্মসূচি তেমন সুফল বয়ে আনতে পারবে না । কারণ গ্যাস সংযোগ বাস্তবায়ন পরিষদের কতিপয় নেতাদের সর্বক্ষেত্রে যোগাযোগের ব্যর্থতার ফলে বার বার আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ছে বলে এলাকার সচেতনমহল জানান। সর্বদলীয় ভাবে এই আন্দোলনে নেতারা যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে না।বিএনরপিসহ অন্যান্য দলের কতিপয় নেতারা জানান বিগত দিনের আন্দোলনের গতিধারাকে থামিয়ে দেওয়ার ফলে আজ গ্যাস সংযোগ আন্দোলন জনগণের তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিষদের ডাকে এলাকাবাসী সালদা গ্যাসক্ষেত্রের সামনে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এসময় সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকায় অবস্থান নিতে পারেনি। সর্বদলীয় গ্যাস সংযোগ বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক ও স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল ও সদস্যসচিব মনিরুল হকের নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, গ্যাস বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অলিউল ইসলাম ভুইয়া আবুল, বায়েক আলহাজ্ব শাহআলম কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম.জি. হাক্কানি, সাধারণ সম্পদক আবু জাহের, কসবা পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হুদা শিপন, বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। এসময় নেতৃবৃন্দ কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমরা দাবি মানার জন্য সাত দিনের সময় দিয়েছিলাম। আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আগামী ২০ জুন কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন নেতৃবন্দ। গ্যাস বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অলিউল ইসলাম ভুইয়া  আবুল গত শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেন “কসবার গ্যাস কসবা চাই”এই আন্দোলন বাস্তবায়ন করার জন্য নীতিগত ভাবে আমরা লড়াই করবো। গ্যাসের সংযোগ দাবী আদায়ে আগামী ২০ জুন ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট-নোয়াখালী রেলপথ কঠিন ভাবে অবরোধের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ অচল করা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, বিগত ১৯৯৫ সালে কসবার সালদায় (বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর এলাকায়) গ্যাস পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কোম্পানী লি. (বাপেক্স) সালদা গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেন। ১৯৯৮ সালে সালদা গ্যাসক্ষেত্রের ১নং কূপ খনন করে তা থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ১ নং কূপ থেকে দৈনিক এক কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস আহরণ করে। পরবর্তীতে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের ২নং কূপ থেকে এক কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস আহরণ করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। দুইটি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ৩ নং কূপ খনন করে গ্যাস উত্তোলন যথারীতি শুরু হয়। এদিকে স্থানীয়ভাবে গ্যাস সরবরাহের জন্য এখানে টি.ভি.এস স্থাপন করা হয়। ইতিমধ্যে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের আটটি গ্রামের দুই শতাধিক গ্রাহকের মধ্যে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। এদিকে গত ২০১১ সালে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনরত কমিটির সাথে বৈঠক করে গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে তারা আন্দোলন থামিয়ে দেন। সার্ভে করে গ্যাস সংযোগের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া হলেও এখনো চুড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। বর্তমান সরকারের অর্থ বছর বাজেটে কসবায় গ্যাস সংযোগ প্রাককলিত ব্যয় অর্থ বরাদ্দ চড়ান্ত হতে পারে বলে আশা করছে গ্যাস বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অলিউল ইসলাম ভুইয়া আবুল।






Shares