Main Menu

১৪৪ ধারা জারি : কসবার মন্দিরে ৫ম দিনেও উৎসব ব্যহত

+100%-

kmপ্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি বাজারের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দিরে ১৩ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী বিশ্বমঙ্গল হরিনাম সংকীর্ত্তন মহাযজ্ঞ উৎসব শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনে ১৪৪ ধারা জারি করে উৎসব বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এ অবস্থায় পঞ্চম দিনেও উৎসব ব্যাহত থাকায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উৎসব অায়োজকরা জানায়, কুটি জগন্নাথ দেব মন্দিরের ১০৬ তম উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজন করে মন্দির পরিচালনা কমিটি। গত ৫ জানুয়ারি  শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। এর এক দিন পর শনিবার পাঠের প্রস্তুতি চলছিল। অাকস্মিক সেদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম  সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন।

মন্দিরের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে অারেকটি পক্ষ উৎসব চলাকালে একই স্থানে কোন প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে। এরপর আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার কথা বলে মন্দির এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করে উপজেলা প্রশাসন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা ইসলাম জানান, মন্দিরের কমিটি নিয়ে বিরোধ থাকা একটি পক্ষ উৎসবের স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাক দেয়। এরপর আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার অাশংকায় মন্দির এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে।

ইউএনও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দু’পক্ষ যদি একসঙ্গে মিলে তাহলেই উৎসব পালনে অার বাঁধা থাকে না। এমন হলে অামরা তাদের আরো সহযোগিতা করবো এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা কার্ফিউ উঠিয়ে নিবো।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেবক রায় জানান, এটি তাদের কমিটির পক্ষ থেকে করা তৃতীয় উৎসব। এবছর তারা যে আয়োজন করেছিলেন, বিগত কোন সময় এমনটি হয়নি। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চলমান উৎসব বন্ধ করে দিয়েছে।

এমন ন্যাক্কারজনক কান্ডের নিন্দা জানিয়ে সেবক রায় বলেন, আমরা চাই উপজেলা প্রশাসন সবকিছুর খোঁজ নিয়ে দ্রুত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুক।

এদিকে কসবা থানা সূত্র জানায়, ১৪৪ ধারা জারির পর থেকে মন্দিরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।






Shares