Main Menu

ভিকারুননিসায় পড়তেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

+100%-

রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মেয়েদের স্কুল হিসেবেই দেশব্যাপী পরিচিত। অনেকেই জানেন না স্কুলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘প্রিপারেটরি স্কুল’ হিসেবে। নামকরা এই স্কুলটির শিক্ষার্থী ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবে স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান বদরুল আলম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সম্পর্কে বলেন, ‌’আপনারা শুনে অবাক হলেও এটাই সত্যি যে, আমাদের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ভিকারুননিসা স্কুলের ছাত্র ছিলেন। একসময় এই স্কুলটি ভিকারুননিসা প্রিপারেটরি স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সেসময় তিনি ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন।’

পরে বিষয়টি খোলাসা করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘১৯৬১ সালে আমাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি করা হয়। ওখানে তখন কেজি-ওয়ান, কেজি-টু, ক্লাস-ওয়ান, ক্লাস-টুতে ছেলেরা পড়তে পারতো। এর বেশি আর ছেলেরা পড়তে পারতো না।’

‘আমাকে যখন সেখানে ভর্তি করা হলো তখন আম্মাকে না দেখলে আমি স্কুল থেকে পালিয়ে চলে আসতাম, আর না হয় স্কুলে কাঁদতাম। পরে আমার মা-ও ওই স্কুলে চাকরি নিল। এরপর টানা ৪ বছর আমি ভিকারুননিসা স্কুলে পড়েছি। পরে আমি সেন্ট জোসেফ হাই স্কুলে গিয়ে ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে পড়েছি, এখন এটা কলেজ হয়ে গেছে,’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে পর পর দু’বার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম ব্যক্তি আনিসুল হক।

তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকার সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে ও-লেভেল পাস করেন। এরপরে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের মাধ্যমে এ-লেভেল সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হন। এ বিষয়ে তিনি স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে এলএলএম পাস করেন।

আনিসুল হক ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা ও আখাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ১২ জানুয়ারি তিনি প্রথমবারের মতো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পুনরায় একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।






Shares