Main Menu

বন্ধ হয়েছে কসবার নলকূপের বালু-গ্যাস নির্গমন, কোটি টাকার ক্ষতি দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে নলকূপ বসানোর জন্য খনন করা কূপ থেকে পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়। তবে এ ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আর গ্যাস নির্গমন না হলে আগামী রোববার থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া।

স্থানীয়রা জানান, কসবা উপজেলার বিদ্যানগর গ্রামের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি নতুন নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হয়। নলকূপ বসানোর জন্য কূপ খননের পর গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে হঠাৎ করে বিকট শব্দে ওই কূপ থেকে পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস বের হতে থাকে। তীব্র বেগে অনবরত বালু ও গ্যাস বের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয় চারপাশে।

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকার বাড়ি-ঘরে চুলায় আগুন জ্বালাতে নিষেধ করে দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা বালু ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন। এর মধ্যে শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বালু ও গ্যাসের প্রভাবে বিদ্যালয়ের দুটি গাছ ও পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীরের দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। তবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালু ও গ্যাসের নির্গমন কমে আসে।

শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বালু ও গ্যাস নির্গমন হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ধসে গেছে। এছাড়া শহীদ মিনার ও ভবন দেবে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যদি নতুন করে আর বালু ও গ্যাস না বের হয় তা হলে সবকিছু পরিষ্কার করে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।

কসবার সালদা গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যান্ট অপারেটর রেজাউল করিম জানান, এখন পরিস্থিতি একেবারে শান্ত। কূপের পানি কয়েক ফুট নিচে নেমে গেছে। বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ রয়েছে।






Shares