Main Menu

প্রবাসীর স্ত্রীসহ এসআই গ্রেফতার

+100%-

নরসিংদীতে অপহরণ ও প্ররোচনা মামলায় এসআই জিয়াউর রহমানকে (৩৮) মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীসহ গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ লাইন থেকে এসআই জিয়াউর রহমানকে ও সদর উপজেলার তুলশীপুর থেকে প্রবাসী মানিকের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়।

বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রবাসী মানিক মিয়ার স্ত্রী পারভীন নরসিংদীর চর এলাকা নিলক্ষার মৃত মহরম আলীর ছেলের বউ। তার দুটি সন্তান রয়েছে।

এসআই জিয়াউর রহমানের বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাউলগঞ্জ গ্রামে। তিনি সর্বশেষ জেলার রায়পুরা থানায় কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ের অপরাধে এক সপ্তাহ আগে তাকে রায়পুরা থানা থেকে ক্লোজড করে নরসিংদী পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। সোমবার সকালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা গ্রামের মানিক মিয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। প্রায় এক বছর আগে প্রবাসে তার কক্ষ থেকে নরসিংদীর এক প্রবাসী সাড়ে ৫ লাখ টাকা চুরি করে। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মালয়েশিয়ায় একটি মামলা দায়ের করে।

৬ মাস আগে ওই মামলাটি দেশে স্থানান্তর করা হয়। নরসিংদী সদর মডেল থানায় স্থানান্তরিত মামলাটির বাদী ছিলেন প্রবাসী মানিক মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার। মামলার তদন্তের সুবাদে দুই সন্তানের জননী পারভীনের সঙ্গে সখ্যতা হয় তৎকালীন নরসিংদী সদর মডেল থানার এসআই জিয়াউর রহমানের।

পরে এসআই জিয়া প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন আক্তারকে বিয়ে করেন। দুই সন্তানের জনক এসআই জিয়ার আগের স্ত্রী রয়েছে।

গত ২৯ নভেম্বর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন প্রবাসী মানিক মিয়া। বৃহস্পতিবার প্রবাসী মানিক মিয়া বাদী হয়ে এসআই জিয়াউর রহমান ও স্ত্রী পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর নরসিংদী রেল স্টেশন মার্কেট থেকে এসআই জিয়া বাদীর স্ত্রী পারভীনকে অপহরণ করে। পরে তাকে প্ররোচিত করে বিয়ে করেছে।

মামলাটি সোমবার নরসিংদী সদর মডেল থানায় নথিভুক্ত করা হয়।

মামলার বাদী মানিক মিয়া বলেন, ‘পুলিশ রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় আমার সাজানো সংসারটি ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এসআই জিয়ার কারণে আমার দুই সন্তান মা হারা হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেফতারকৃত এসআই জিয়াউর রহমান বলেছেন, ‘আইন মোতাবেক পারভীন তার স্বামীকে তালাক দেয়ার পর আমি বিয়ে করেছি। মামলায় অপহরণের যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন আমি নিলক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছি।’

নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, অপহরণ ও প্ররোচনা মামলায় এসআই জিয়া ও পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।






Shares