Main Menu

কসবা উপজেলায় দখলের কারণে হারিয়ে যাওয়া ৫৪টি খাল উদ্ধার হচ্ছে

+100%-

খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, কসবা প্রতিনিধি :: কসবা উপজেলা থেকে দখলের কারণে হারিয়ে যাওয়া সরকারি খাল উদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সারোয়ার। গত ৪০ বছরে কসবা উপজেলা থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় ৫৪টি খাল। এই খাল গুলোর অধিকাংশই ভরাট-দখলে সংকুচিত হয়ে নর্দমার আকৃতি পেয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫৪টি খালের অস্তিত্ব ছিল। এসব খালের সংযোগ ছিল জেলার তিতাসসহ অন্যান্য নদ-নদীর সঙ্গে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পয়:নিস্কাশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হত। দখল-দূষণে অনেক আগেই সংকুচিত হওয়া খাল গুলো এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পওিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। খাল নালা জলাশয় যথেচ্ছ ভাবে দখলের পরিণতিতে বর্ষা হলেই কসবা উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে জলাবদ্ধতার অস্বস্তিকর থাবা নাগরিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে খালসহ প্রাকৃতিক জলাশয়ের বিলুপ্তি তাদের জন্য কী অভিশাপ সৃষ্টি করছে।

জলবদ্ধতার অবসান শুধু নয়, উপজেলাতে শ্বাস নেওয়ার মতো পরিবেশ বজায় রাখতে দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধার ও তা পুন:খননের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। সরকারের খাল উদ্ধারের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম ও সকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সারোয়ার,জেলা পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেন ইকবাল,কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম এ মান্নান জাহাঙ্গীরসহ পুলিশের উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার খুনি পরিবারের সদস্যের বসত বাড়ির সামনে দখলকৃত খালটি গত রোববার দখল মুক্ত করার যাত্রা শুরু করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ হাতে কোদাল হাতে নিয়ে খাল উদ্ধারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এই সময় ইউপি চেয়ারম্যান,পুলিশ,ইউপি সদস্যসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, উপজেলার ব্রা‏‏হ্মণগ্রামস্থ ছিনাই নদীর উওর পাড় থেকে গোপীনাথপুর বাজার পর্যন্ত দখলকৃত খালটি উদ্ধার করা হবে ।

উপজেলাবাসীর একটাই প্রত্যাশা দখলের কারণে হারিয়ে যাওয়া কসবা উপজেলার সরকারি বিভিন্ন খাল উদ্ধারসহ জলাধার রক্ষার মহতি উদ্যোগটি যেন মাঝ পথে এসে থমকে না যায়।






Shares