Main Menu

আ`লীগ নেতাকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাল্টা মানববন্ধন

+100%-

রুবেল আহমেদ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মোঃ কবির হোসেন ভ’ইয়াকে রাজাকার পুত্র বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত ১১ মার্চ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের জন্য মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাল্টা মানববন্ধন করেছেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ স্থানীয় জনসাধারন। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি-জামাত থেকে যোগদান করা আওয়ামী লীগ ও মুলধারার আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলে আসছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে মুলধারার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ গাববাড়ী-চন্দ্রপুর ও ভরাজাংগাল গ্রামের অধিবাসীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি নেতা জামসেদ মিয়া, জসিম উদ্দিন, মুজিবুর রহমান মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রমজান মিয়া ও রহিজ মিয়াদের শাস্তি দাবী করেন। তিনটি গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ও ছাত্র যুবক জানান বর্তমান আওয়ামী লীগ বিনাউটি ইউনিয়ন সহ-সভাপতি মো.কবির হোসেন ভ’ইয়ার পিতা মরহুম জহুর আলী মেম্বার একজন নিবেদীত আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। তিনি বা তার পরিবারের কেহই রাজাকার ছিলেন না । তিনি বর্তমান আইনমন্ত্রীর বাবা প্রাক্তন সংসদ সদস্য মরহুম এডভোকেট সিরাজুল হকের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের একজন নিবেদীত নেতা হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করেন। পাক সেনাদের আক্রমনে তার স্ত্রী আহত হন এবং এক কন্যা সন্তানকে হারান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধামসার গ্রামের ঐতিহাসিক দিঘী থেকে বিএনপি নেতা জামসেদ মিয়া, মানব পাচারকারী জসিম মিয়া, রইছ মিয়া, রঙ্গু মিয়া ও মুজিবুর রহমান গংরা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। এতে দিঘীর তিন পাড়ে অবস্থিত ধামসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, গোরস্থান, মাজার, ঈদগাহ, শ্বশ্মানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ইতোমধ্যে একপাশে রিটার্নিং ওয়াল কাত হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, এ সমস্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ ও ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট একাধিক অভিযোগ পেশ করলেও এ যাবত কোনো প্রতিকার হয়নি। বরং মাটি বিক্রেতারা মোঃ কবির হোসেন ভূইয়াকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের জন্য দাবী জানান। তারা কিছু মানুষকে নিয়ে ব্যানার ফেষ্টুন বানিয়ে মানববন্ধন করে গত ১১ মার্চ কবির হোসেনের বাবা রাজাকার ছিলো এমন অপবাদ দেন। এ ঘটনায় পুরো উপজেলা আওয়ামী লীগের লোকজন অস্বস্তিতে ভূগছেন।

বিনাউটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো. কবির হোসেন ভ’ইয়া, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আলী আজ্জম, বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, শ্যামল ভ’ইয়া, মোঃ আলাউদ্দিন, রনি ভ’ইয়া, আশিকুর রহমান ও মরহুম জহুর আলী মেম্বারের ভাতিজা সাংবাদিক হারুনুর রশিদ।

কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে সাংবাদিকদের বলেন, মরহুম জহুর আলী মেম্বার সাহেব একজন নিবেদীত আওয়ামী লীগ নেতা। তাঁঁর ছেলে কবির হোসেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ করতেন। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। যারা অপবাদ দিচ্ছেন এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভূমি সংক্রান্ত সামাজিক বিরোধকে কেন্দ্র করেই এমনটি করছেন। আমরা চেষ্টা করছি এই বিরোধটি মিটিয়ে দিতে।

গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, মানববন্ধন করেছি কবির হোসেন উন্নয়ন কাজের বিরোধীতা করেছেন বলে। তার বাবা রাজাকার ছিলো কিনা আমি জানিনা। আমি কখনো রাজাকার বলি নাই। অপরদিকে জামসেদ মিয়া ও ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।

বিনাউটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন বলেন, জহুর আলী মেম্বার আওয়ামী লীগের একজন নিবেদীত নেতা ছিলেন। যারা তাকে অপবাদ দিচ্ছেন তার কারন হলো সামাজিক বিরোধ। এ ছাড়া জামসেদ মিয়া ও ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান বিএনপি করেন। তারাতো অপবাদ দিতেই পারেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, আমি নতুন এসে যোগদান করেছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ বিষয়ে ্অভিযোগ পেয়েছি। মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।






Shares