পলাশকে অব্যাহতি:: জেলা ছাত্রলীগে দ্বিমত
গত ৩ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কসবা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশের বিরুদ্ধে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে কসবা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রদও লিখিত অভিযোগ পত্র এবং উপজেলা শাখা ও সকল ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের লিখিত অনান্থা প্রদানের ভিওিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:তাজুল ইসলণাম আপন যুক্ত স্বাক্ষরে অভিযুক্ত এমদাদুল হক পলাশকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কসবা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করে। একই সাথে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক(১) মো:মনির হোসেনকে উক্ত উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
লিখিত বার্তায় জেলা ছাত্রলীগ এমদাদুল হক পলাশের অব্যাহতি প্রদানের কারণ উল্লেখ্য করেন যে,কসবা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দ্বৈত দায়িত্ব পালন যা সংবিধান বিরোধী, কসবা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের ৬০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সংখ্যা গরিষ্ট ৪০ সদস্যর অনাস্থা প্রদান,এমদাদুল হক পলাশের বিরুদ্ধে নানান অপকর্মের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রদান এবং আরও বিবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডে অভিযোগের ভিওিতে গৃহীত উপরোক্ত সিদ্ধান্ত।
এদিকে, ৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হয়েছে উল্লেখ করে এর সাথে ছাত্রলীগের কিছু নামদারী নেতার যোগসাজস রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রলীগের এ সিদ্ধান্তকে নিয়ম বর্হিভূত বলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারন সম্পাদক রাসেল মিয়া প্রতিবাদও জানিয়েছে। এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এমদাদুল হক পলাশকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কসবা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে বহাল রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়াটোয়েন্টিফোরডটকম কে বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমার একার নয়। তারা অভিযুক্ত এটা জেনেও রাসেল স্বাক্ষর করছিলনা। আমরা এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার ও আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তারা আমাদের পরবর্তী করনীয় ঠিক করে দেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, কারো ব্যাক্তি ইচ্ছায় কোন সংগঠন চলেনা। সভাপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক রাসেল মিয়া বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তাকে করান দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এ রকম কিছুই হয়নি। বিকেলে অভিযোগ আসলে সন্ধ্যায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদকের সাথে যোগাযোগে অনুরোধ করেন তিনি।