কসবায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ॥ আহত অর্ধশতাধিক



কসবা প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের সাতপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টেটা-বল্লম ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার সাথে জড়িত উভয় গ্রুপের ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে ।
সংঘর্ষে আহত কিবরিয়া আহমেদ জানান, সোমবার দুপুরে ব্যবসায়িক টাকা-পয়সা নিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়ায় উপজেলার শিমরাইল গ্রামের সাতপাড়া এলাকার মোঃ বাক্কি মেম্বারের ছেলে সুমন মিয়া ও মোঃ রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে মোঃ গিয়াসউদ্দিন । এই কথা কাটাকাটির জের ধরে টেটা-বল্লম, ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে নামে মেহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালের সমর্থক ও মেহারী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুল আউয়ালের সমর্থরা। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় দলের প্রায় অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যগন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এর আগে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে হামলা-পাল্টা হামলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকেলে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়। কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পায়ে টেটাবিদ্ধ সুমন মিয়া (৫০), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া আহমেদ ( ৫০) এবং কামাল হোসেন (২৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই একে অপরের বাড়িঘরেও হামলা চালায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই গ্রুপেরই দলনেতাগন সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় ছিলেন না। সাবেক মেহারী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল হজ¦ পালনে রয়েছেন সৌদি আরবে এবং অপর গ্রুপের দলনেতা মেহারী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুল আউয়াল ছিলেন ব্যক্তিগত কাজে নরসিংদি এলাকায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এই দুই গ্রুপের মধ্যে এই বিরোধ দীর্ঘদিনের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আবার কখন জড়িয়ে যায় সংঘর্ষ এই নিয়ে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজমান।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহীনির টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। দুই দলেরই ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ের রাখা হয়েছে।