Main Menu

আখাউড়া স্থলবন্দরে এক বছর ধরে ইলিশ রফতানি বন্ধ ॥ কমেছে মাছ রফতানি

+100%-


মো.জিয়াউল ইসলাম ॥ আখাউড়া থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ইলিশ রফতানি। পাশপাশি দিনে দিনে কমে যাচ্ছে মাছ রফতানি। কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবসায়িরা বলছেন ভারতে অধিকাংশ মাছ চলে যায় অবৈধ ভাবে। সরকারি ভাবে ইলিশ মাছ বন্ধ থাকলেও ভারতের বাজারে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায় বলে বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন। তাছাড়া চোরাকরবারিদের কাছ থেকে কম মূল্যে মাছ পাওয়ার কারণে বেশি মূল্য দিয়ে নিতে আগ্রহী নন ভারতীয় ব্যবসায়িরা। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
জানাযায়, ভারতে উত্তর-পূর্ব ৭টি রাজ্যে প্রবেশে অন্যতম দ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশের ৩২টি পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাছ রফতানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ছোট মাছের চাহিদা বেশি ভারতের বাজারে। চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল ইলিশ মাছের। তবে দেশের বাজারের চাহিদার কথা চিন্তা করে সরকার বন্ধ করে রেখেছে ইলিশ রফতানি। চোরাই পথে ভারতের বাজারে প্রচুর ইলিশ মাছ রফতানি হওয়ার কারণে কমে যাচ্ছে মাছ রফতানি কার্যক্রম। এতে সরকার হারাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি কারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল জানান  ইলিশ বন্ধ রয়েছে এক বছর ধরে। আর নানান সমস্যার ও ভারতীয় ব্যবসায়িদেও বিভিন্ন ধর্মঘটের কারণে মাছ রফতানি কমে যাচ্ছে। পাশপাশি তিনি দ্রুত ইলিশ রফতানি দাবি জানান।

আখাউড়া স্থল বন্দর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. লৎফুর রহমান জানান মাছ রফতানি আগের চেয়ে কমে গেছে। পাশপাশি রাজস্ব আদায়ও কমে গেছে। ইলিশ বন্ধের ব্যাপারে তিনি জানান এটি সরকারের বিষয়। তবে তিনি স্বীকার করেছেন চোরাই পথে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ভারতে পাচার হচ্ছে।
তবে তবে মাছ ব্যবসায়িরা মনে করছেন দ্রুত ইলিশ রফতানি ও মাছ চোরাই পথে বন্ধ হওয়ার দাবি জানিয়েছেন।






Shares