Main Menu

আখাউড়ায় ‘কথিত’ মা-ছেলের নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ

+100%-

প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক গৃহবধূকে স্বামী ও কথিত শাশুড়ির নির্যাতনের হাত থেকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্বামী ও কথিত শাশুড়ি বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।

এলাকাবাসী জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন সেলিনা বেগম ও তাঁর পালক পুত্র নজরুল ইসলাম প্রকাশ লিটন। গত বছরের নভেম্বর মাসে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আনন্দগ্রামের মো. আজদু মিয়ার মেয়ে কাজলকে বিয়ে করেন লিটন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের পরিবারে ছিল অশান্তি।

কাজল আক্তার বলেন, ‘তাইনে (লিটন) আগে একটা বিয়া করছিল জানতাম না। এছাড়া মা’র সঙ্গেও তাঁর একটা খারাপ সম্পর্ক আছে। বিয়ের পর দিন একটা ঘটনা দেইক্কা আমার সন্দেহ লাগে। প্রায়ই আমার চোখে কিছু ধরা পড়ে। এই ঘটনা কেরে করতাছে পইলা বৈশাখের দিন আমি আমার শাশুড়িরে জানতাম চাই। শাশুড়ি আমারে খুব মাইরধর করে। স্বামী আইলে বিচার দিলে হে অ ক্ষেইপ্পা যা। শুক্রবার দিন আমারে ঘরের মইদ্যে তালা দিয়া বাইর অইয়া গেলে আমি চিল্লাইয়া মানুষ জমাই’।

কাজলের বাবা আজদু মিয়া বলেন, ‘যাইয়া দেহি আমার মাইয়ার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। এলাকার লোকজন আমাডারে সাহায্য করছে বইল্লা মাইয়াডারে হাসপাতালে আইন্না চিকিৎসা করাইতাম পারছি। সমাজের লোকজন শেষ কইরা দিব কইছে দেইক্কা পুলিশের কাছে গেছি না’।
এলাকাবাসী জানান, মেয়েটিকে ঘর থেকে উদ্ধারের পর তাঁর বাবা-মাকে খবর দিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে এলাকায় তাৎক্ষনিক বৈঠক বসলে ’কথিত মা-ছেলে’ মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে মুচলেকা দেয়। এমনকি তাঁদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের কথাও স্বীকার করে মুচলেকায় স্বাক্ষর দেন। পরে মেয়েটিকে তাঁর অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নজরুল ইসলাম এর আগেও একটি বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সংসারও বেশিদিন টেকেনি’।

সেলিনা আক্তারের ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক মো. আলমগীর হোসেন রঞ্জু বলেন, ‘মেয়েটির উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। আমি ঘটনা জেনে সাথে সাথে প্রতিবাদ করি। তবে বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে’।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিনা আক্তার বলেন, ‘ছেলেটি আমার আত্মীয়। ছোট বেলা থেকেই মায়ের স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছি। এলাকার মানুষ এখন নানা অপবাদ দিচ্ছে। তবে সেদিন আমার ছেলে তাঁর বউকে চিকন বেতন দিয়ে কয়েকটি বাড়ি দেয়’।






Shares