বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক
নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কারো দাবির মুখে সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে রাণীখার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চলতি বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১৮ সালের শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। কারও কোনো দাবি মানা হবে না। সংবিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেয়া। সকলেই এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কাউকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে আমরা নির্বাচন করাতে পারব না।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মওদুদ সাহেব, আপনি বলেছেন, বেগম জিয়া একদিন জেলে থাকলে ১০ লাখ ভোট বাড়ে। আপনি বিদেশির বাড়ি জালিয়াতি করে দখল করেছিলেন। পরে সরকার তা নিয়ে নিয়েছে। আপনার জালিয়াতি কথাবার্তা বাংলার মানুষ বুঝে গেছে এখন আর বিশ্বাস করে না। আপনি প্রত্যেক দিন একটা করে কথা বলেন, আর আপনাদের ১০ লাখ ভোট কমে’।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সংবিধান পরিবর্তন করা হবে না। কারও কোনো অন্য দাবি মানা হবে না। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেয়া। কাউকে অনুরোধ করে ঘর থেকে ডেকে এনে আমরা নির্বাচন করাব না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা অন্য সব টাকা মারতে মারতে এতিমের টাকাও মেরেছে। আর আওয়ামী লীগ দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছে।
ধরখার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুল ইসলাম মনুর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কায়ছার জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুল হক বাছির, সেলিম ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পরে মন্ত্রী আখাউড়া বনগজ সড়কের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।