Main Menu

আখাউড়ায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে

+100%-

সাদ্দাম হোসাইন, আখাউড়া: পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া জংশন স্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের মাধ্যমে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাউন্টারে আসনযুক্ত টিকিট না পেয়ে সাধারণ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত সীমাহীন চরম দুর্ভোগে পড়ছে। আখাউড়া রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে টিকিট কালোবাজারির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আখাউড়া স্টেশন মাষ্টার, বুকিংক্লার্ক, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশসহ রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে আখাউড়া জংশন স্টেশনে স্থানীয় কালোবাজারিরা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে টিকিট বিক্রি করছেন। যাত্রীদের অভিযোগের তীর হচ্ছেন, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্তরসহ সংলগ্ন পান দোকান, চা স্টল, সেলুন এবং আশপাশের দোকানপাটে এখন অবাধে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। টিকিট কালোবাজারির মধ্যে রয়েছেন, মোঃ রাশেদ খান, একাত্তর টেলিকমিকেশনের মোঃ মিলন মিয়া,লিভা ফাস্টফুটের মোঃ কবির আহামেদ, মোঃ মহব্বত, মোঃ বাবু, নিঝুম ভ্যারাইটিজের মোঃ কামরুল, এবং স্বপন মিয়া।

ঢাকায় যাবার যাত্রী হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, সব থেকে কষ্ট লাগে তখন যখন দেখি আখাউড়া রেলওয়ের জংশন চত্তরে প্রকাশ্যে টিকিট বিক্রি হয় তখন স্থানীয় প্রশাসন কিছুই করে না, যদি স্থানীয় প্রশাসন কড়া নজর রাখে তাহালে আমার মনে হয় কালোবাজারিরা আর টিকিট বিক্রি করতে পারবে না।

পারভেজ ডলিম নামে এক যাত্রীর অভিযোগ তিনি বলেন, ঢাকা যেতে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন টিকিট কাউন্টারে আসনযুক্ত টিকিট কোনো দিন পাইনি। উপায় না পেয়ে কালোবাজারীদের কাছ থেকে ১৬০ টাকার টিকিট সাড়ে ৩’শ টাকা করে ক্রয় করতে হয়।
হেনা আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা খুব সহজ, যেখানে দাঁড়িয়ে কালোবাজারিরা টিকিট বিক্রি করে সেইখানে যদি রেলওয়ে পুলিশ থাকে তাহলে তারা কি প্রকাশ্যে টিকিট বিক্রি করতে পারে? না পারে না। যখন টিকিট বিক্রি করতে পারবে না তখন দেখবেন নিজ
ইচ্ছেতেই তারা এই থেকে দুরে চলে যাবে।
এমন অভিযোগ ও রয়েছে টিকিট বুকিংমাস্টারদের বিরুদ্ধে যে,এক দিন উপকুল ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে বন্ধ থাকা দিনে গিয়ে টিকিট চাইলে তিনি সাথে সাথে বলে আসন নাই, অথচ পরে যখন জানতে পারে যাত্রী যে আজকে উপকূল ট্রেইন বন্ধ তখন বুকিং মাস্টারেরর এই আচরণেই প্রমাণ করে তারা টিকিট কালোবাজারিরি সাথে জড়িত। টিকিট কালোবাজারি রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি আন্তরিক হতো তাহলে এ অবস্থা সৃষ্টি হতো না বলে যাত্রীরা মনে করেন। বুকিংমাস্টার আক্তার ও জসিম কালোবাজারির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ যাত্রীদের, তাদের সাথে কথা বলা হলে তারা মিথ্যা বলে জানান প্রতিবেদককে।

রেলওয়ে ব্যাবসায়ীক সমিতির সভাপতি আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, যাত্রী তুলানায় আসনযুক্ত সিট কম তাই আমি মনে করি আসনযুক্ত সিট যদি বাড়ানো হয় তাহলে যাত্রীদের জন্য ভাল হবে। আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সুপার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, আগের চেয়ে টিকিট
কালোবাজারি অনেকটা কম। স্টেশন চত্বরে কোনো টিকিট কালোবাজারি নেই। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কান্তি দাস বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন টিকিট কালোবাজারির নামে মামলা দিয়েছি। রেল পুলিশ টিকিট কালোবাজারিদের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি সত্য নয়।






Shares