Main Menu

বিজয়নগরে তাবলিগ জামাতের ওপর হামলার ঘটনায় ১৭ জন গ্রেফতার

+100%-

প্রতিনিধি:::ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)কে নিয়ে উক্তির জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও তাবলিগ জামাতের ওপর হামলা করে ৩০ জনকে আহত করেছে সুন্নি সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নজিরাবাড়ী মসজিদে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করা হয়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ও গতকাল বাদ জোহর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত সোমবার চরইসলামপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের মাদরাসা ছাত্র বোরহান উদ্দিন ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)কে নিয়ে উক্তি করে। এ ঘটনায় সুন্নি সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে এদিনই চরইসলামপুর সুন্নি আলিয়া মাদরাসা মাঠে এক সালিশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ মিয়ার উপস্থিতিতে মাদরাসা ছাত্র বোরহান উদ্দিনের চাচা ফরিদ মিয়াকে কানে ধরে উঠবস ও গলায় জুতার মালা পরানো হয়। সালিশের বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার দুপুরে মাদরাসার ছাত্ররা বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় দু’পক্ষের মধ্যে এক সালিশে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে মাওলানা আবু বক্করের নেতৃত্বে একটি তাবলিগ জামাতের দল চরইসলামপরের নাজিরাবাড়ী মসজিদে তাবলিগের দাওয়াতে গেলে মাগরিব নামাজের পর কয়েকশ’ সুন্নি সমর্থক মসজিদের ভেতরে ঢুকে তাদের মারধর করে। এতে  মাদরাসার ছাত্রসহ ৩০ তাবলিগ সমর্থক আহত হন। এ ঘটনার পর মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বৃহস্পতিবার দফায় দফায় তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে জেলা প্রশাসক ড. মো. মোশাররফ হোসেন সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে আহতদের খোঁজ নেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। চরইসলামপুরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে গতকাল জুম্মা নামাজের পর শহরের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা থেকে মাদরাসার ছাত্র ও মুসল্লি শহরের লোকনাথ উদ্যানে (টেংকের পাড়) জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাউতলী মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা এরশাদ প্রমুখ। বক্তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেন। এ ব্যাপারে মুফতি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, তাবলিগ জামায়াতের ওপর হামলার ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।






Shares