Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লোডশেডিংয়ে জনদূর্ভোগ চরমে

+100%-

মো: জিয়াদুল হক বাবু :: পবিত্র রমজান শুরু থেকেই তীব্র গরম ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিজয়নগর উপজেলাবাসী। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় জন জীবন দুর্ভিষহ হয়ে উঠেছে। দিনে রাতে মিলিয়ে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সঞ্চালন পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।

সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলায় প্রতিদিন দিনে রাতে লোডশেডিংয়ের পরিমান ১০/১২ঘন্টা । আর আকাশে একটু মেঘ দেখা দিলেই এক থেকে দুই দিন বিদ্যৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয় বিজয়নগরবাসীকে। ফলে রমজান মাসে মুসল্লিদের ইবাদত ও শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অন্য দিকে শিশুরা অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করার কারনে ফ্রিজ ,টিভি ,মটর,পাখাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ও দামী বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে।

এদিকে, দিনের বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্তানে গড়ে উঠা ছোট বড় কারখানা গুলির উৎপাদন বন্ধ হয়ে কারখান গুলি বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে। মাগরিবের আজানের সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে বাজারে লোকজনের আনাগোনা কমে যায় এবং ঈদকে সামনে রেখে দোকানীরা দোকান খোলা রাখলেও বাজার থাকছে ক্রেতা শূন্য। ফলে প্রতিনিয়তই ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

ইসলামপুর বাজারের ব্যবসায়ী মহসিন মৈসান বলেন, লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসা করতে পারছিনা, বিদূাৎ আসবে কখন আমরা সে আসায় থাকি।
এলাকার বাসিন্দা কাজী হানিফ ও নিপু বলেন, গরমে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে গেছি। দেশের কোন স্থানে এরকম লোডশেডিং আছে বলে মনে হয়না ।

আলহাজ¦ কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খাঁন বলেন, তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আব্দুল ওয়ারিদ বলেন, বিজয়নগরে বিদ্যুৎ এর ঘাটতি নেই। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় এখানে লোডশেডিংয়ের পরিমান কম এবং ২ টি ফিডার সচল আছে। তবে একটি ফিডারে মেরামত কাজ চলায় বর্তমানে লোডশেডিং হচ্ছে । কাজ শেষ হলে ২ ঘন্টার বেশী লোডশেডিং থাকবেনা ।






Shares