Main Menu

আশুগঞ্জে খালের মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে কালভার্ট নির্মান প্রানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ার আশংকা ॥

+100%-

শামীম উন বাছির ::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় ৩৫ ফুট প্রশস্ত একটি খালের মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে মাত্র ৮ ফুট প্রস্থের একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করার কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কালভার্টটি নির্মিত হলে এলাকায় নৌ-চলাচল বন্ধ সহ স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হবে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায়  উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের ব্যবসায়ি শফিউল আলম ইমন এই বক্স কালভার্ট নির্মাণ করছেন বলে জানা গেছে।  বর্তমানে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ  চলছে।
এলাকাবাসী জানান, সোনারামপুর সেতু সংলগ্ন ওই খালটি মেঘনা নদীর সাথে সংযুক্ত। এটি উপজেলার তালশহর গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নবীনগরের বড়াইল গ্রাম হয়ে তিতাস নদীতে মিশেছে। বর্ষাকালে তালশহরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন খালটি দিয়ে নৌকাযোগে মালামাল আনা নেওয়া করে। তারা বলেন খালের মাঝখানে ছোট একটি বক্স কালভার্ট নির্মিত হলেন বর্ষাকালে খাল দিয়ে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া কালভার্ট নির্মাণের কারণে খালটি সংকুচিত  হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহেও ব্যাঘাত ঘটবে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের ব্যবসায়ি শফিউল আলম ইমন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ ৩৫ ফুট প্রশস্ত এই খালটির মাঝখানে মাত্র ৮ ফুট প্রস্থের একটি কালভার্ট নির্মাণ করার ফলে খালটি একেবারেই সরু ড্রেনে পরিণত হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামা বলেন, বর্ষাকালে এই খালটি দিয়ে তালশহরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ আশুগঞ্জ থেকে ইট-বালু, রড-সিমেন্ট ও মাটির নৌকা মেঘনা নদী হয়ে এই খাল দিয়ে পরিবহন করে থাকে। খালের মাঝখানে সরু কালভার্ট নির্মাণ হলে ভারী নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সুযোগ হারাবে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বলেন, তার কার্যালয়ে আবেদন করেই খালের উপর নিজ খরচে কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।  তিনি বলেন আবেদন করে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের নকশা মেনে কালভার্ট নির্মাণ করা যেতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সোনারামপুর-তালশহর সড়ক লাগোয়া খালটির সোনারামপুর অংশে বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। শুকিয়ে যাওয়া খালটির তলায় কালভার্টের নির্মাণ কাজ চলছে।  
খালের পাশের কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যবসায়ী ইমন খালের ওপারে ছয় বিঘা জমি ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে তিনি একটি বালুমহাল তৈরি করবেন। ওই বালুমহালে গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
খালপাড়ের বাসিন্দা সজীব আহমেদ বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ব্যবসায়ী ইমন এই কালভার্ট নির্মান করছেন।
কালভার্ট নির্মাণ কাজের তদারকীকারী উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের হানিফ মিয়া জানান, কালভার্টটি হবে ৬২ ফুট দৈর্ঘ্যরে। এর প্রস্থ আট ফুট। এটি নির্মাণে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র আশুগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শরীফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মাত্র মাস দুয়েক হলো আশুগঞ্জে এসেছি।  বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে কালভার্ট নির্মাণকারী ব্যবসায়ী শফিউল আলম ইমনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার আবেদনে ইউএনও স্যার অস্থায়ী ভিত্তিতে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন।
পাকা কোন স্থাপনা অস্থায়ী ভিত্তিতে হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই খালে তো আর এখন নৌকা চলে না। শুধু বিলের পানি নামে। পানি নামার ব্যবস্থা রেখেই কালভার্ট করা হচ্ছে।






Shares