Main Menu

যান্ত্রিক ক্রুটির কারনে আশুগঞ্জ সার কারখানার সব ইউনিট বন্ধ

+100%-


শামীম উন বাছির: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার এ্যামোনিয়া প্লান্টের ত্রুটির কারনে বয়লার ট্রিপ করায় গত শনিবার রাত থেকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদনসহ বন্ধ রয়েছে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা। স্থানীয় প্রকৌশলীরা মেরামত কাজ শুরু করলেও পুনরায় উৎপাদনে ফিরে আসতে ৫/৬ দিন সময় লাগতে পারে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ আগষ্ট কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ার পর গত ১ মাসে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ৫ বার বন্ধ হয়। কারখানার কারিগরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত প্রায় ৯টায় কারখানার এ্যামোনিয়া প্লান্টের ত্রুটির কারনে স্ট্রীম উপাদনকারী বয়লার ট্রিপ করে বন্ধ হয়ে যায় কারখানার এ্যামোনিয়া, ইউটিলিটি, ইউরিয়া ও নিজস্ব ২৭ মেগাওয়াট মতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ প্লান্ট। বর্তমানে পিডিবির সঞ্চালন লাইন থেকে কারখানার আবাসিক চাহিদাসহ যাবতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পর পরই স্থানীয় প্রকৌশলীরা মেরামত কাজ শুরু করেছেন। তবে কারখানা পুণরায় উৎপাদনে ফিরতে ৫/৬ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ। গ্যাসের অভাবে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল থেকে ২৯ আগষ্ট পর্যন্ত ৫ মাস বন্ধ ছিল কারখানা। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে গত ৩০ আগষ্ট কারখানা উৎপাদন শুরু হয়। চালু হওয়ার পর থেকে গত এক মাসে নানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারখানাটি ৫ বার বন্ধ হয়।
কারখানা সূত্র জানান, চলতি অর্থবছরে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ কারখানার উৎপাদনের ল্ক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। বার বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে কারখানা বন্ধ থাকায় চলতি রোপা আমন ও আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সার সরবরাহের ঘাটতির ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের আশংকা করছেন কারখানা ও সার সংশ্লিষ্টরা। জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, আমদানিকৃত সারসহ বর্তমানে সারের মজুদ কম। বার বার কারখানা বন্ধ ও উৎপাদন ব্যাহত হলে চলতি রোপা আমন ও আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সারে ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারখানার সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, চলতি অর্থবছরের দুইমাস গ্যাস সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। ক্যামিকেল কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়, ফলে নানা যান্ত্রিক দেয়া স্বাভাবিক। এভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা অর্জন নাও হতে পারে। এতে আমরা তিগ্রস্ত হবো।
কারখানার মহাব্যবস্থাপাক (উৎপাদন) প্রকৌশলী মোঃ জিন্নাত আলী জানান, এ্যামোনিয়া প্লান্টের ত্রুটির কারনে শনিবার রাত ৯টায় কারখানার সব ইউনিট বন্ধ রয়েছে। মেরামত কাজ চলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ৫/৬ দিনের মধ্যে ফের উৎপাদনে ফিরে আসবে। বর্তমানে কারখানার গুদামে ৩১ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। সারের ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।






Shares