Main Menu

আশুগঞ্জ মেধাবী ছাত্র সাইফুল হত্যার আসামী আনোয়ার খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য কর্মকর্তা গ্রেফতার

+100%-

শামীম উন বাছির ঃ আশুগঞ্জ আড়াইসিধা গ্রামের  ফিরোজ মিয়া মহা বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র সাইফুল আলম চাঞ্চল্যকর  হত্যামামলার ২নং আসামী (খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য কর্মকর্তা) একই গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম এর ছেলে আনোয়ার হোসেন রবিনকে হত্যাকান্ডের ২২ দিন পর খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার এস আই ফিরোজ খাগড়াছড়ি কতোয়ালী থানার সহায়তায় গতকাল ভোর ৫টায় ঐ জেলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডরমেটরী ভবনের ছাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়। উল্লেখ্য গত ৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫টায় আশুগঞ্জ উপজেলার  আড়াইসিধা গ্রামের নতুন চকবাজার ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে রাস্তার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আক্রোশ জনিত কারণে মেধাবী কলেজ ছাত্র সাইফুল আলমকে কুপিয়ে ও রড দ্বারা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে অতপর তাকে সদর হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে নিহত সাইফুলের চাচা ডাক্তার সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আড়াইসিধা ইউনিয়নের লাওয়াসার গ্রামের মৃত শামসুল হক এর ছেলে ১। জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ২। আনোয়ার হোসেন রবিন  (খাগড়াছড়ি জেলা তথ্য কর্মকর্তা), ৩। শামিম মোল্লার ছেলে দিদারুলসহ ৪। সাইদুল হক সাদু, ছেলে মোহন মিয়া, ৫। মামুন মিয়া, পিতা- ঐ ৬।মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে নাহিদ মিয়া, ৭। নবী হোসেনের ছেলে শ্যামল মিয়া, ৮। মৃত আবু আব্দুল্লাহ ফকিরের ছেলে রহমতুল্লাহ, ৯। মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আলামীন, ১০। শামীম মোল্লার ছেলে মহসীন, ১১। মৃত শামসু মিয়ার ছেলে সেন্টু মিয়া, ১২। মৃত আবু মিয়ার ছেলে আবু সায়েম মিঠু,  ১৩। মৃত জাহের মিয়ার ছেলে শেরদিল মিয়া, ১৪। মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন।  সর্বসাং আড়াইসিধা ১৫।  মৃত নূর মিয়ার ছেলে মোবারক সাং লাওয়াসার, সর্ব থানা আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে বিবাদী করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করে। মামলাং নং ০১/ তারিখ ০৪/০২/২০১৩। ধারা ১৪৩/৩৪১//৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০২/১১৪/৩৪/প্যানালকোড। বাদী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামীগণ সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী চরিত্রহীন, লম্পট, দুষ্কৃতিকারী, চোর ও জঘন্য ক্রিমিনাল প্রকৃতির লোক। ২,৩ ও ৭নং আসামী আনোয়ার হোসেন, দিদারুল, শ্যামল মিয়া, বর্ণিত কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের বিগত ৫/৬ মাস ধরিয়া উত্ত্যপ্ত করিয়া মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাহাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করিলে ক্ষিপ্ত হইয়া   ভয়ভীতিসহ খুন জখমের হুমকী প্রদান করিলে আসামী আনোয়ার হোসেন রবিন গং এর বিরুদ্ধে গত ৩১/০৮/২০১২ তারিখ নিহত সাইফুল আলম আশুগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন। যাহার নং ৯১৩।  উল্লেখ্য যে, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের ইভটিজিং, অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করিয়া উত্ত্যক্ত করতঃ মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুর্জন প্রকৃতির লোক আনোয়ার হোসেন রবিন এর বিরুদ্ধে ৩১জন প্রথম বর্ষ ও ২য় বর্ষের ছাত্রছাত্রী নিজ নাম স্বাক্ষর করে পুলিশ সুপার বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহণের জন্য গত ০৮/০৯/২০১২ ইং তারিখে  আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ারের নেতৃত্বে উক্ত দুষ্কৃতিকারীরা সাইফুল আলমের ক্ষতিসাধনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় বলে জানা যায়। মামলার প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি কতোয়ালী থানার সহায়তায় ২নং আসামী কুখ্যাত খুনী আনোয়ার হোসেন রবিনকে গতকাল গ্রেফতার করে।
আশুগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ধৃত সাইফুল আলম হত্যামামলার  আসামী আনোয়ার হোসেন রবিন অন্য একটি ২৬ ধারার মামলার চার্জশীট ভুক্ত পলাতক আসামীসহ ভাংচুর, লুটতরাজের একাধিক মামলার আসামী। এদিকে মেধাবী কলেজ ছাত্র সাইফুল হত্যামামলার অপরাপর খুনী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে সুশীল সমাজের মানুষ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।






Shares