Main Menu

সাত সন্তানের জননী বিধবাকে ধর্ষণ

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চাচা ও ভাতিজার ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক বিধবা। ভাতিজার ধর্ষনের বিচার চাওয়ার পর চাচার ধর্ষনের শিকার হন তিনি। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই নারী মামলা করতেও ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই নারী তার দুসন্তান নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় আট বছর আগে উপজেলার শরীফপুর গ্রামের এক নারীর স্বামী মারা যান। এ সময় তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ও ওই নারীর চাচা শ্বশুর আবু সাঈদ ওরফে লাল মিয়া পরিবারটির দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই ওই নারী তার সন্তানদের নিয়ে চাচা শ্বশুরের বাড়িতেই থাকেন। এরই মধ্যে তিনি দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে ঢাকায় চাকুরি করেন। ছোট এক ছেলে ও এক মেয়ে তার সঙ্গে থাকেন।

বুধবার সকালে গিয়ে ওই নারীকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির সহায়তায় নির্জনস্থানে গেলে দেখা হয় ওই নারীর সঙ্গে। ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে তিনি জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে লাল মিয়া ভাতিজা আমীর তার ঘরে ঢুকে ধর্ষন করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ঢাকায় কর্মরত ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরও তিনি ঘটনাটি লাল মিয়াকে অবহিত করেন।

গত ২০ জানুয়ারি রাতে লাল মিয়া তাকে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলা মাত্রই তিনি তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষন করেন। এ সময় ঘরে তার ছোট ছেলে ছিল। ওই রাতেই তিনি ছেলেকে নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে যান। সকালে বিষযটি স্থানীয় কয়েকজনকে জানালে তারা বিষয়টি কেউ বিশ্বাস করবেনা বলে বিচার চাইতে কিংবা মামলা করতে নিষেধ করে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সাঈদ ওরফে লাল মিয়া বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। গ্রাম্য কোন্দলের কারনে মানসম্মান নষ্ট করতে প্রতিপক্ষ ওই নারীকে দিয়ে এসব বলাচ্ছে। সে আমার মেয়ের মতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,তার ভাতিজা আমির হোসেনের ধর্ষন সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানেননা।

এ বিষয়ে শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.সাইফুদ্দিন চৌধুরী সাফি বলেন, ধর্ষিতা আমাদেরকে ঘটনার বর্ননা দিয়েছেন। লাল মিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ ছিল। তাছাড়া ওই নারীর শরিরে এখনো আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেই ওই গ্রামে পুলিশ পাঠিয়ে মহিলাকে আমার কার্যালয়ে এনে তার বক্তব্য শুনেছি। তার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্যও রেখেছি। এ বিষয়ে থানায় মামলা দেওয়ার কথা বলেছি।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, ‘বুধবার বিকেলে ভিকটিম নিজে থানায় এসে এ বিষয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে মানবাধিকার সংগঠন দুর্বার নেটওয়ার্কএর কুমিল্লা অঞ্চলের সম্পাদক শাহানা খায়ের মুঠোফোনে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাকে পরর্বীতে সকল আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।






Shares