Main Menu

সামাজিক গনমাধ্যমে দেওয়ানবাগী পীরের মৃত্যুর গুজব! মৃত্যু কামনা করে হাজার হাজার পোস্ট

+100%-

ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে বিতর্কিত ও বহুল সমালোচিত দেওয়ানবাগী পীর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ভর্তি এ পীরের অবস্থা গতকাল শুক্রবার অবনতি হলে আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়।

ইউনাইটেড হাসপাতালের পাবলিক রিলেশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমান শুভ এই বিষয়টি  নিশ্চিত করে গতকাল শুক্রবার বলেছিলেন,  নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়ানবাগী পীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ডা. নাজমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

এই খবর প্রকাশের পর থেকেই ফেসবুকের হোমপেজ জুড়ে হাজার হাজার মানুষকে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় এই বিতর্কিত ও সমালোচিত পীরের মৃত্যু কামনা করতে দেখা যায়।

নিজেকে  ‘মহান সৃস্টিকর্তার সাথে তুলনা করা ও নিজেকে মহানবী (সাঃ) এর কন্যা মা ফাতেমার স্বামী দাবী করে আগে থেকেই বিতর্কের তুঙ্গে ছিলেন দেওয়ানবাগীর এই পীর । আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার নানা বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর ছিলেন অনেকেই। এদফায় তার ‘জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে আইসিইউতে থাকার খবরে সেই আলোচনার শুরু হয় নতুন করেই। দেওয়ানবাগির এই পীরকে ভণ্ড ও ইসলামবিরোধী উল্লেখ করে হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে তার মৃত্যু কামনা করতে দেখা যায়।

এদিকে, আজ শনিবার সকাল থেকেই দেওয়ানবাগী পীরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরে ফেসবুক জুড়ে। এতে করে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে অনেক মানুষ। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মৃত্যুর খবরটি ‘গুজব’ মাত্র।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে দেওয়ানবাগী পীরের মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়েছে। তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল, সেটা দূর করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেওয়ানবাগী পীরের শরীরে খিচুনি দেখা দেয়। তখন হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা তাকে দেখেন। তাকে এন্টি-ভাইরাস দেওয়া হয়। সেই সমস্যাটি কেটে গেছে। পরে তার মস্তিষ্ক, বুক ও পেটের সিটিস্ক্যান করা হয়। বুকের সিটিস্ক্যান করার পর ফুসফুসের পর্দায় সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

বর্তমানে দেওয়ানবাগী পীরের রক্তচাপ এবং নাড়িস্পন্দন স্বাভাবিক রয়েছে। এজন্য কোনো ধরনের ওষুধ দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তার রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন-ড্রাই-অক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রস্রাব পরীক্ষা করা হয়েছে এটাও ভালো। পাশাপাশি তার চোখের মণিও ভালো কাজ করছে।

দেওয়ানবাগী পীরের নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।

ফরিদপুরে চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এরপর তার মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী। এর সুবাদে শ্বশুরের কাছ থেকে খিলাফত লাভ করেন।






Shares