Main Menu

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মিত হল শহীদ মিনার॥ খুশি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী

+100%-

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আড়াইসিধায় উদ্বোধন করা হল শহীদ মিনার। শুক্রবার সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নবনির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার না থাকায় প্রতি বছরই শিক্ষার্থীরা শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেন কাগজের শহীদ মিনার তৈরী করে। বিষয়টি অবহিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় বিদ্যালয় মাঠে ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেন।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রত্যুষেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে খালি পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন এবং নব নির্মিত এ শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। এ সময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজা পারভীন, আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া, আড়াইসিধা কেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম, খন্দকার সাহানা ফরিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম প্রমূখ।

জেলার প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাষার মান রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। যে উদ্দেশ্য নিয়ে বুকের তাজা রক্ত মাটিতে ঢেলে দিয়ে এই ভাষা আমরা পেয়েছি তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভাষাকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না। স্বাধীন বাংলাদেশের সমস্ত আন্দোলনের মূল চেতনা এই একুশে ফেব্রুয়ারি।

১৯৪৮ সালের দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে বিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫৬ ভাগ মানুষের মুখের ভাষাকে অস্বীকার করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র করছিল তখন এদেশের দামাল ছেলেরা তা মাথা পেতে নেয়নি। ১৯৫২ সালের এই দিনে রক্তে রন্জিত রাজপথে রচিত হয়েছিল একটি ভাষা বাংলাভাষা। মূলত এর পরিপ্রেক্ষিতেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, বাংলাদেশ। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত রঞ্জিত করে বাঙালি জাতি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।

ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন-তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, এই ইতিহাস তোমাদের মুখে মুখেই ছড়িয়ে পড়বে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তিনি আরও বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরতে জেলা সবগুলো উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।






Shares