Main Menu

জন্ম থেকে অন্ধ ক্ষুদে গায়ক শ্রাবনের দায়িত্ব নিলেন ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী এমপি

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ অন্ধ ক্ষুদে গায়ক শ্রাবনের দায়িত্ব নিলেন সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী। তিনি শ্রাবনের চিকিৎসা, লেখাপড়াসহ আগামীর পথ চলারও দায়িত্ব নিয়েছেন। তার চোখের চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তিনি নিজে শ্রাবণকে নিয়ে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুজহাত চৌধুরী সম্পার তত্ত্বাবধানে চক্ষু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা করেছেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক চোখে দৃষ্টি ফিরে পাবার সম্ভ্যাবনা নেই জানিয়েছেন।

তবে দৃষ্টি ফিরে না পেলেও তাকে উচ্চ শিক্ষিত ও গায়ক হয়ে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন এমপি বাপ্পী। শ্রাবনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত আসমতুন্নেছা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি করিয়ে ও সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খা সংগীতাঙ্গনে গানের তালিম দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আর এসব প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় ব্যয়ভারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী বলেন, অন্ধ হয়ে জন্ম নেয়া দুষের কিছু নয়। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত প্রতিটি প্রতিবন্ধি মানুষকে হাত বাড়িয়ে দিলে এগিয়ে যেতে পারবে বহুদূর। তিনি বলেন, শুধু আমিনই শ্রাবনের পাশে রয়েছে শহীদ আলিম চৌধুরীর মেয়ে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুজহাত চৌধুরীও। তিনি তাকে সহয়তা করবেন আমাকে জানিয়েছেন।
অন্ধ ক্ষুদে গায়ক শ্রাবন জানান, সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী আমার জন্য যা করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সমাজে সুবিধাবাদীদের মাঝে এখনো কিছু ভালো মানুষ আছেন তা উনাকে মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহ উনার প্রতি সহায় হোক।
শ্রাবনে মা আলিয়া বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, একজন এমপি হয়ে তিনি নিজে আমার ছেলের জন্য এত কিছু করবেন আমি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। তিনি নিজে আমার ছেলেসহ আমাকে উনার বাসায় নিয়ে গিয়ে একসাথে বসিয়ে খাওয়ানো এবং নিজে ডাক্তারে কাছে নিয়ে গিয়ে আমার ছেলেকে চিকিৎসা করিয়েছেন। এ ছাড়া বাড়ি ফিরে আসতে উনার পিএসের মাধ্যমে গাড়ি দিয়ে রেলস্টেশনে পৌছে দিয়েছেন। যাওয়া ভাড়াসহ খরচের টাকা দিয়েছেন। আমার ছেলেকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ও প্রতিষ্ঠিত করতে দায়িত্ব নিয়ছেন তা সমাজে বিরল। উনি যে ভাবে অসহায় মানুষের জন্য করে যাচ্ছেন। আল্লাহ যে উনার প্রতি সহায় হয়।
উল্লেখ্য, জন্ম থেকেই অন্ধ। বাবা নেই। ৪ভাই ও ১ বোন। ক্ষুদে গায়ক সে। পথে পথে গান গেয়েই চলে তার জীবন। তার দু চোখই অন্ধ। আর এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর চোখে পড়লে তিনি শ্রাবনের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্রাবনকে নিজে ঢাকা নিয়ে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চোখের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়ে এবং চিকিৎসা, লেখাপড়াসহ আগামীর পথ চলারও দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। যা বর্তমান সময়ে একজন সংসদ সদস্য হয়ে এ ধরণের ঘটনা বিরল। ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পীর এ উদ্যোগ দেখে সমাজে আরো অনেকে অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসবেন মনে করেন অনেকে।






Shares