Main Menu

ইউপি নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ! কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, ভোট কারচুপি, সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম

+100%-
asuganj_sadarডেস্ক ২৪::  আশুগঞ্জে সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম। নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, ভোট কারচুপি, সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ৪ জুন নির্বাচনের ভোটগ্রহনের দিন সকাল থেকেই আ’লীগ প্রার্থীর পক্ষে শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করেন। এসময় তারা ককটেল ও বোমা বিষ্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে।
এসময় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরব ভূমিকা পালন করে। সদর ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং কেন্দ্রে বেলা ১২টার পর চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোন ব্যালট পেপার ছিল না। আইনশৃংখলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করলে তারা অপরাগতা প্রকাশ করেন। এদিন বিকেলে বিজয় মিছিলের নাম করে নৌকার সমর্থকেরা আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের ২০/২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। ভোটের পরদিন সকালে আ’লীগ প্রার্থী সালাউদ্দিন তার লোকজন আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের শ্যামল মিয়ার বিল্ডিং এর সিড়ির নিচে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে ওই বিল্ডিং-এ অভিযান চালিয়ে ১৩ জন নিরীহ লোক ধরে নিয়ে যায়।
এসব ঘটনায় এ ঘটনায় ২টি মিথ্যা দিয়ে আমার ৫৩ জন সমর্থককে আসামি করা হয়েছে। আমরা থানায় দুটি মামলা দিলে পুলিশ আমাদের মামলা আমলে না নিয়ে উল্টো আমাদেরকে হয়রানী করছে। পুলিশের তৎপরতার কারনে আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের কমপক্ষে ১৫০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ চাতালকল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আ’লীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান সিরাজ, পরিবহন ব্যবসায়ী মিলন শাহ, ধান-চাল ব্যবসায়ী জহিরুল হক সিকদার, জাকির হোসেন বাদল ও হেলাল সিকদার।





Shares