Main Menu

আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত

+100%-

১৯৭১ এর ১১ই ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরব ভৌগলিক দিক থেকে পাক হানাদারদের চারণভ‚মি হিসেবে পরিচিত ছিল। নীরিহ মানুষের উপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এর ধরণের অমানবিক কার্যক্রমে তারা লিপ্ত থাকতো। ৯ (নয়) মাস বিরামহীন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আশুগঞ্জ-ভৈরব এলাকার পাক বাহিনীকে লক্ষ্য করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে এক সম্মুখ যুদ্ধের সূচনা ঘটে। আশুগঞ্জ এলাকার চতুর্দিক থেকে তীব্র আক্রমণের সামনে হানাদার বাহিনী টিকে থাকতে পারে নাই। এতে হানাদার বাহিনীর অসংখ্য সেনা আহত ও নিহত হয় এবং মিত্র বাহিনীর কিছু সদস্য শহীদ হয়। ১১ই ডিসেম্বর আশুগঞ্জ হানাদারমুক্ত হয়।

সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিবসকে “আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস” নামে মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটি হয়। উক্ত কমিটি প্রতি বৎসরই এই দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে আসছে। অন্যান্য বৎসরের ন্যায় এ বৎসরও জহিরুল হক মুন্সী কমিউনিটি সেন্টার, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিবসটি পালিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন-এ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা-এমপি, বিশেষ অতিথি-জনাব জহিরুল হক মাস্টার, আহ্বায়ক-জাতীয় পার্টি, আশুগঞ্জ উপজেলা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা (গ্রুপ কমান্ডার) জনাব শেখ জসিম উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনে-জনাব মতিউর রহমান সরকার। বক্তব্য রাখেন-জনাব আবুল খায়ের মাস্টার, চেয়ারম্যান-লালপুর ইউনিয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আহাদ আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর মৃধা, জনাব বাদল সাদির-সাবেক চেয়ারম্যান তারুয়া ইউনিয়ন, জনাব শাহজাহান মাস্টার, জনাব হানিফ মুন্সি, আহ্বায়ক-আশুগঞ্জ উপজেলা-আওয়ামীলীগ, সবশেষে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি, বিশেষ অতিথি ও প্রধান অতিথি।






Shares