Main Menu

গাড়ী আটকিয়ে ঈদ বকশিসের নামে আশুগঞ্জে বেপোরোয়া পুলিশ, নেপথ্যে টি.এস.আই বিল্লাল

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে বকশিসের নামে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে টোল প্লাজা পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে টোল প্লাজা পুলিশে দায়িত্বে থাকা উপসহকারি-শহর পরিদর্শক (টি.এস.আই) মো. বিল্লাল হোসেন গাড়ী আটকিয়ে চাদাবাঁজি ও চালকদের হয়রানি করছেন প্রতিনিয়িত। এই সকল অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে একাধিকবার সদ্যবিদায়ী পুলিশ সুপার প্রত্যাহার করলেও তিনি আবার স্ব-পদে বহাল হয়ে যান। ফলে আরও বেপোরোয়া হয়ে পড়েন তিনি। এই সকল অভিযোগ থাকার পরও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি।

তবে এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশুগঞ্জে টোল প্লাজা পুলিশে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি শহর পরিদর্শক (টি.এস.আই) মো. বিল্লাল হোসেন।

জানাযায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু। এই সেতুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ প্রান্তে টোল প্লাজা পুলিশে একটি ক্যাম্প রয়েছে। সিলেট বিভাগের চার জেলা হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যাতায়াতে এই টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে হয়। আর এই টোল প্লাজায় নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রতিদিন ট্রাফিক পুলিশের দুইজন ও জেলা পুলিশের একটি অস্থায়ী টিম কাজ করে। আর এই টিমের নেতেৃত্বে রয়েছেন উপ-সহকারি শহর পরিদর্শক (টি.এস.আই) মো. বিল্লাল হোসেন। অভিযোগ রয়েছে ঢাকামুখী গাড়ী থেকে প্রতিদিন গাড়ী চেকিং করার নামে গাড়ী আটকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। চাহিদা মত টাকা না দিলে গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা, ও রিকুজ্যেশন এর ভয় দেখান তিনি।

এই পথে চলাচলকারী একাধিক গাড়ী চালক জানান, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা সামনে আসলেই আমরা টি.এস.আই বিল্লাহ হোসেন এর জন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সে চালকদের হয়রানি করা ছাড়াও গায়ে হাতও তুলে। তবে যে সকল চালকদের সাথে মাসিক চুক্তি আছে তাদের তিনি ধরেন না।

নরসিংদী কর্ভারভ্যান চালক মজিদ মিয়া জানান টি.এস.আই বিল্লালকে টাকা দেওয়া ছাড়া এই পথে চলা দায়। এই রকম অভিযোগ আরও অনেক চালকের। তবে ঈদকে সামনে রেখে আরও বেপোয়োরা হয়ে পড়েছে টি.এস.আই বিল্লাল হোসেন।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় জেলা পুলিশে সাবেক এক পুলিশ সুপারের স্ত্রীকে ম্যানেজ করে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরও সে এই পদে বহাল রয়েছে। তার এই সকল অভিযোগে বিষয় চলতি সাপ্তাহে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে টি.এস.আই মো. বিল্লাল হোসেন’র বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তার দৃষ্টিও আকর্ষণ করা হয়।

অভিযোগে বিষয়ে (এটি.এস.আই) মো. বিল্লাল হোসেন অভিযোগে বিষয় অস্বীকার জানান, গাড়ী আটকিয়ে কোন অর্থ আদায় করেন না তিনি। তিনি শুধু ট্রাফিকের কাজ করেন। তবে আগে তাকে কেন? প্রত্যাহার করা হয়েছে, জানতে চাইলে ছলচাতুরি করতে থাকেন। জেলা ট্রাফিক পুলিশে পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন জানান কোন অভিযোগ থাকলে তার প্রমাণসহ পুলিশ সুপার স্যারকে জানাতে পারেন।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কাছে জানতে চাইলে জানান সে কি রকম হয়রানি করে? হয়রানি বিষয় গুলো এই প্রতিনিধি কাছ থেকে জানার পর তিনি জানান বিষয়টি আমি দেখব।






Shares