Main Menu

নাসিরনগরে যুবক খুন, ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার- ১

+100%-


প্রতিনিধি ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইছহাক (৩০) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। বিধবা হয়েছেন সন্তান সম্ভাবা জেসমিন বেগম (২৪)। ঘটনার তিন দিন পর গত বুধবার সন্ধায় ৩৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফরিদ মিয়া (৩০) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নাসিরনগর সদর, ধনকূড়া ও আশুরাইল গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গত জানুয়ারী মাসে নাসিরনগর সদরে একটি মাহফিলকে কেন্দ্র করে অহাবী ও সুন্নী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ অনেক গন্যমান্য ব্যক্তির হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। গত রোববার বিকেলে ওই ঘটনার জের ধরে বুরিশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের শহুর মিয়ার পুত্র বকুল মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক থানা থেকে মাত্র ২০ গজ দূরে ইছহাক ও তার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ইছহাক গুরুতর আহত হয়। তাকে নাসিরনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টায় অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। রোগীর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকলে সোমবার ভোরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরন করা হয়। এ্যাম্বোলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে বিশ্বরোড মোড়ে ইছহাক মারা যায়। ইছহাকের বাড়ি সদর ইউনিয়নের ধনক’ড়া গ্রামে। রইছ মিয়ার পুত্র ইছহাকরা ছয় ভাই। চার বছর পূর্বে ইছহাক পার্শ্ববর্তী কুলিকুন্ডা গ্রামে বিয়ে করেছে। তার কোন সন্তান নেই। তবে তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। তার মৃত্যুর খবরে ধনকূড়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। সমগ্র গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। কিছু লোক লাঠি সোটা নিয়ে নাসিরনগর সদরে ঢুকে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সন্ধার পর পুরো আশুরাইল গ্রাম হয়ে পড়ে পুরুষ শুন্য। গত বুধবার সন্ধায় ইছহাকের ছোট ভাই বকুল আহমদ বাদী হয়ে আশুরাইল গ্রামের শহুর মিয়া (৬২) কে প্রধান আসামী করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার ২ নং আসামী বকুল মিয়া (২৮) বুরিশ্বর ইউপি ছাত্রদলের সম্পাদক ও দৈনিক নিউজ নামক পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি। অপরদিকে ৬ নং আসামী ইসলামী ছাত্র সেনার নেতা ও দৈনিক দেশের পত্র নামক একটি পত্রিকার নাসিরনগর প্রতিনিধি। নিহত ইছহাকের পরিবারের দাবী এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল কাদের বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একজন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।