Main Menu

নাসিরনগরে ১২২ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য দুই শিক্ষা কর্মকর্তা ॥ কার্যক্রম চলছে জোড়াতালি দিয়ে

+100%-

প্রতিনিধি॥ প্রয়োজনীয় লোকবল সংকটের কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ পর্যায়ে বেহাল দশা। লোকবল সংকটের কারনে প্রতিনিয়ত স্কুলগুলো তদারকি করা যায়না। ফলে অধিকাংশ স্কুলের শিকই সঠিক সময়ে স্কুলে যায়না। অপরদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৫টি কাষ্টারে সরকারি ও রেজির্স্টাড মিলিয়ে ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জন্য ১ জন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ৫ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, ৩ জন অফিস সহকারী, ১ জন হিসাব রক্ষক ও ১জন পিয়ন থাকার কথা থাকলেও অফিসে আছেন ১জন শিক্ষা কর্মকর্তা, ২জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ২ জন অফিস সহকারী। চতুর্থ শ্রেণীর কোন কর্মচারী নেই দীর্ঘদিন ধরে। ৩ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য আছে। ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তদারকির জন্য মাত্র ২জন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা থাকায় উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে ২জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে প্রায় ব্যস্ত থাকার কারনে ২জন সহকারী শিা কর্মকর্তাকে মাঠ পর্যায়ের কাজ করতে হচ্ছে। ফলে বিদ্যালয় পরিদর্শন, শিক্ষক-শিক্ষকদের কাষ্টার ট্রেনিং এবং শিক্ষকদের হাজিরার বিষয়টি তদারকি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ৩ জন অফিস সহকারীর স্থলে মাত্র ২ জন কর্মরত থাকায় এর প্রভাব পড়ছে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে। ফলে শিক্ষকরা টাইমস্কেল, মেডিকেল ছুটি, পেনশনসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে সুষ্ঠু তদারকি না থাকায় কতিপয় শিক্ষক নিজেদের মনগড়া মতো স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি আবদুল হামিদ খান বলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার অভাবে বিদ্যালয় গুলোর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা যাচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করা গেলে শিক্ষকরা আরো দায়িত্বশীল হতেন এবং লেখাপড়ার মানও আরো উন্নত হতো। উপজেলার চান্দেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলু রাজা জানান, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করলে শিক্ষকরা আরো দায়িত্বশীল হবেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েতুল ফারুক ভুইয়া জানান, প্রতিটি কাস্টারে ১জন করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার অভাবে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন  কর্তৃপকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে ।  







Shares