Main Menu

দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় আটক আলোচিত রসরাজ দাস

“মা-বাবাকে রোজগার করে খাওয়াতে পারলেই খুশি হবো”

+100%-

প্রায় আড়াই মাস কারাভোগের পর মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় আটক রসরাজ দাস (২৭)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার মো. নুরুন্নবী জানান, জামিনের কাগজপত্র জেলা কারাগারে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে কারাগার থেকে রসরাজকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ফেইসবুকে ‘অবমাননাকর’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ২৯ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

মুক্তি পাওয়ার পর ফেসবুকের পোষ্ট প্রসঙ্গে রসরাজ দাস বলেন, ‘ফেসবুকে কী হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তখন তিনি বিলে মাছ ধরছিলেন। হঠাৎ করে একদল লোক এসে তাকে মারধর শুরু করে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আহত  অবস্থায় পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।’ রসরাজ জানান, আরও বলেন ‘ফেসবুকে ছবি দেখার জন্য চাচাতো ভাইকে বলেছিলেন একটি আইডি খুলে দিতে। এর বেশি তিনি কিছু জানতেন না।‘এখন বাড়ি ফিরে মা-বাবার কাছে যাব। সেখানে আগের পেশা মাছ ধরার কাজে থাকব। মা-বাবাকে রোজগার করে খাওয়াতে পারলেই খুশি হবো।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন সোমবার রসরাজকে জামিন দেন। পুলিশ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত জামিনে থাকবেন তিনি ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি পোস্টের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেফতার হন নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হড়িণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস (৩০)।

পরে ৮ নভেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রসরাজের জামিনের শুনানি হয়। তবে ওই সময় আদালত রসরাজের জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর ২ ডিসেম্বর জামিন আবেদনের পর জেলা ও দায়রা জজ আদালত শুনানি শেষে ৩ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন আদালত রসরাজের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।

 






Shares