Main Menu

নাসিরনগরে ১২৪ টি বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত।।

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা. নাসিরনগর প্রতিনিধি:নাসিরনগরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাইমারি স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৪টি বিদ্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার নাসিরনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ভূবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোয়রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরোজমিনে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সাথে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সার্বিক তত্ত্বাধানে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোট। বিভিন্ন ক্লাসরুমে প্রার্থীদের প্রচারণা সংক্রান্ত বর্ণিল কাগজও চোখে পড়ে বিদ্যালয় গুলোতে।

বিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার, পোলিং এজেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করেন স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই। প্রতিটি বিদ্যালয়ে মোট ৭টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পদগুলো হলো- পরিবেশ, পুস্তক ও শিখন, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি এবং অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ধরনের নির্বাচন নেতৃত্ব তৈরি করতে সহায়ক হবে। একেকজন শিশু একজন নেতা হবে। এই নেতারাই একেকটি সংগঠনের নেতৃত্ব দেবে এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকে সর্বক্ষেত্রে মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।’

৫ম শ্রেণির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফান্দাউক ঋষিপাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী মো: তপু মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবোধ রক্ষা করব এবং যদি কেহ অসুস্থ হয় তাহলে তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

৪র্থ শ্রেণিরর ছাত্র আরিফ জানায়, সে নির্বাচিত হলে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বড়দের সঙ্গে বৈঠক করে যা কিছু করার দরকার, তা সে করবে। ক্লাসে লেখাপড়ার মান যাতে ভালো হয়, সে জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করবে।

৫ম শ্রেণীর ছাত্রী শাপলা জানায়, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে বাগান পরিচর্যা করা এবং যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে আসে না, তাদেরকে বিদ্যালয়মুখী করার জন্য কাজ করবে।

এ বিষয়ে জুবেদা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্র চর্চা তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের এ ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জেনেছি। তবে এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য যদি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক এবং লিডার শিপের তৈরির মাধ্যম হয়ে থাকে তাহলে দেশের উপকার হবে।

পলাশ নামে এক ভোটার জানায়, যাদের সে ভোট দিয়েছে তাদের কাজ কি তা তার জানা নেই। তার ক্লাস থেকে যে নির্বাচিত হবে সে ক্লাস ক্যাপ্টেন হবে শুধু এটাই সে জানে। এ জন্য সে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: ইকবাল হোসেন জানান, এটা একেবারে শেকড় থেকে গণতন্ত্র ও নিয়মানুবর্তিতা চর্চার একটি প্রয়াস।






Shares