Main Menu

নাসিরনগরে মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন ইউএনও

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমা আশরাফী। শহীদ মিয়া নামের মুক্তিযোদ্ধা গত সোমবার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। তিনি পিএলআইডি রোগে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ায়ে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। ঢাকার বেসরকারী হাসপাতালে ব্যায়বহুল চিকিৎসার কথা শুনে অসহায় শহীদ মিয়া ইউএনও’র স্মরণাপন্ন হন। ইউএনও নাজমা আশরাফী তাঁর অফিসের কয়েকজন কর্মচারীকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শহীদকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এর পর তাঁর চিকিৎসায় তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে শহীদ মিয়ার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলপ্রকার সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ৫ হাজারসহ নগদ ১৫ হাজার টাকা তাঁর পরিবারের কাছে তুলে দেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া পিএলআইডি বা লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিক্স প্রল্যাপস রোগে আক্রান্ত বলে তাদের ধারনা। যার ফলে তাঁর কোমরে ব্যথা থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঝিঁ ঝিঁ ও শিরশিরে অনুভূত হচ্ছে। রোগটি ভালোভাবে নিশ্চিত হতে গেলে এমআরআই করতে হবে। যা বহন করতে অক্ষম শহীদ মিয়া।

মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সমকালকে জানান, কিছুদিন ধরে তিনি বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। শোয়া থেকে উঠে বসতেও পারেন না। তিনি আরো জানান, তিনি উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা আশ্রয়ন কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। একমাত্র ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অভিজিৎ রায় জানান, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আমরা তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখে তাঁর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।






Shares