Main Menu

নাসিরনগরে পুকুরের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ:: ৫ পুলিশসহ আহত ১৬, আটক ১১

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খাস পুকুরের দখল নিয়ে দুই পক্ষের তিন দফা সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছে। রোববার ভোর রাত ৪টা থেকে সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত থেমে থেমে ৩ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই পক্ষের ১১ জনকে আটক করেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক। ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুল পুর গ্রামের।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত একটি পুকুর মুকবুলপুর নূরে মদিনা হেরা জামে মসজিদ প্রায় ৫০ বছর ধরে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু ওই গ্রামের অলি মিয়া নামে একজন পুকুরটি নিজের কেনা সম্পত্তি বলে দাবী করে। পরে এ নিয়ে অলি মিয়া পুকুরের লিজ বন্ধ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সরকারকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা নিষ্পত্তি না করেই সরকার পক্ষ মসজিদ কমিটির লোকদের পুকুর লিজ দিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অলি মিয়ার লোকজন রোববার ভোর রাতে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ হত্যা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার সকালে মসজিদ কমিটির লোকজন ও অলি মিয়ার পক্ষের লোকজনদের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পুলিশ খবর পেয়ে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টার এবং রাত আটটার দিয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন উভয় পক্ষ। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে অলি মিয়ার পক্ষের কিতাব আলীকে আটক করলে তার পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর আক্রমণ করে। সে সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলো এসআই রফিকুল ইসলাম (পিপিএম), এএসআই নিবারন চন্দ্র দাস, এএসআই পলাশ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল ইকবাল ও আনোয়ার। উভয় পক্ষের আহতরা হলো- সাহেব আলী, জয়নাল মিয়া, আনোয়ার হোসন, সাবরিনা বেগম, কিতাব আলী, হাবিবুর রহমান, মিজানুর রহমান, খেলু মিয়া, লিটন মিয়া ও মিজানুর রহমান।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ১১ জনকে আটক করে। অলি মিয়ার পক্ষের আটকরা হলো, লিটন মিয়া, কিতাব আলী, রেফা আক্তার ও রফিয়া বেগম। মসজিদ কমিটির পক্ষের আটকরা হলো, ছায়েব আলী, খেলু মিয়া, জিয়া রহমান, মিজান মিয়া, আবিল মিয়া ও স্বপ্না আক্তার।
মসজিদ কমিটির সভাপতি এন্তাজ আলী ও অলি মিয়াকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাসিরনরগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, একটি খাস পুকুরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ তিন দফা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের উপর হামলা করে। সে সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। আসামিদের চিকিৎসা শেষ হলে আদালতে পাঠানো হবে।






Shares