Main Menu

স্ট্যাপলার পিন দিয়ে পাঁচ হাজার ৭৫৩ ফুট লম্বা দীর্ঘতম চেইন

দ্বিতীয়বার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে চায় পার্থ

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক:: আবারো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে চায় পার্থ। এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ‘ দ্য লংগেষ্ট চেইন অব সেফটিপিন’ এই ক্যাটাগরিতে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান পার্থ। তবে পার্থ এবার বেছে নিয়েছেন স্ট্যাপলার পিন দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম চেইন কররার। সে অনুযায়ী তিনি গেল বছরের ৩০ মে স্ট্যাপলার পিন দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম চেইন তৈরি করা জন্য অনুমতি চেয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। পার্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের জগদীশ দেবের ছেলে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত শুক্রবার স্থানীয় শ্রী শ্রী পাগল সংকর জিও মন্দিরে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী দুজন স্বাক্ষী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) ও পল্লব হালদার (সহকারী শিক্ষক আইসিটি, ফান্দাউক পন্ডিত রাম উচ্চ বিদ্যালয় এবং সার্ভেয়ার মো. তোফাজ্জল হোসেনের উপস্থিতিতে এই চেইন পরিমাপ করা হয়। প্রমাণ হিসেবে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, এর পূর্বে স্ট্যাপলার পিন দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম চেইনটি ছিলো মিনহাজুল মন্ডলের দখলে। তাঁর বাড়ি পাশের দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দুবরাজপুরে। তিনি ২০১৯ সালে ৩০ ডিসেম্বর আশি হাজার স্ট্যাপলার পিন দিয়ে ৮২দিন কাজ করে ছয়শ ৬১. ৬৬ মিটার ও দুই হাজার ১৭০ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা চেইন তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেন। এর পর পার্থ এ রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড করার মনস্থির করেন। পরে পার্থ গেল বছরের ৩ মে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড করার আবেদন করেন। ৭ জুলাই তাঁর আবেদনটি গ্রহণ করে ২০ জুলাই থেকে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন। পরে তিনি ২০ জুলাই থেকে কাজ শুরু করে এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ করেন। তাঁর এই চেইনটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ২০৭ দিন। ঘন্টার হিসেবে প্রতিদিন চার ঘন্টা করে সর্বমোট ৮১৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। তাঁর চেইনটি পাঁচ হাজার ৭৫৩ ফুট পাঁচ ইঞ্চি ও এক হাজার ৭৫৪ মিটার লম্বা। তিনি এই চেইনটি তৈরি করতে আধা ইঞ্চি লম্বা ১৭ লাখ ১৯ হাজার একটি স্ট্যাপলার পিন চেইন ব্যবহার করেন। যার ওজন সাত কেজি ২৯৬ গ্রাম।

দ্বিতীয়বার বিশ্ব রেকর্ড করতে যাওয়া পার্থের অনুভতি জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথম যখন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের রেকর্ডসে স্থান পাই তখন যে অনুভতি হয়েছিলো তা বুঝাতে পারবো না। এখন আবারো রেকর্ডসের জন্য কাজ করছি। আমার প্রধান উদ্যেশ্য হলো দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে দেশের লাল সবুজের পতাকাকে সম্মানিত করা।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী জানান, প্রথম রেকর্ডেসের পর আমি বলে ছিলাম পার্থকে সকল প্রকার সহযোগিতা করবো। তিনি শুধু নিজেই প্রসংশিত হচ্ছেনা। দেশের সম্মানও বৃদ্ধি করছেন। আমি তাঁর নতুন কাজের জন্য শুভকামনা জানাই।






Shares