Main Menu

ইউএনও’র সুপারিশ, তবু ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেনা সরকারী প্রতিষ্ঠান!!

+100%-

c9a4cfce-08c3-47eb-9021-878340a3ff99এস.এম.বদউিল আশরাফ,নাসরিনগর:: জেলার নাসিরনগরে ১২৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭২ টিতেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। যার কারণে অফিসিয়াল কাজ থেকে শুরুকরে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে মারাতœক ভাবে। এবং মেঘলা আকাশ হলে অন্ধকারের মধ্যেই চালাতে হয় শ্রেণি কার্যক্রম। এমনকি বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম কার্যক্রম বিদ্যুৎ নির্ভর মাল্টিমিডিয়ার সাহায্য ক্লাস নেওয়া ও আধুনিক স্যানিটেশন সমৃদ্ধ ওয়াশ ব্লকও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সরকারি উদ্যোগের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাসিরনগরে ৭২ টি সরকারী প্রাথমকি বদ্যিালয়রে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোমলমতী শিক্ষার্থী। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের নানাবিধ দুর্ভোগরে পাশাপাশি বভিন্নি রোগে আক্রান্ত হচ্ছ।ে

ফান্দাউক ঋষিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দেব জানান, “বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য জানুয়ারী মাসে সমীক্ষা ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করি। এপ্রিল পর্যন্ত কোন সুরাহা না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে এজিএমকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন। জুন পেরিয়ে জুলাই শেষের পথে। তবু বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি।”

বাঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অগ্নিস্বর মজুমদার ও স্কুল কমিটির সভাপতি অমরেশ বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় কোমলমতী শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে কষ্ট করে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে। বুড়িশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ আহাম্মদ চৌধুরী বলেন, সমগ্র গ্রামের পাশা পাশি আমার স্কুলে ওয়ারিং করা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছি না। ফলে প্রায় ৮শ কোমলমতী শিক্ষার্থী আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তির সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে।

পূর্বভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার দাস বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের বাড়ির পাশে স্কুল হওয়া সত্বেও আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছিনা। কোমলতী শিশুদের নিয়ে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫২ স্কুলে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং উশিঅ/নাসির/২০১৬/৩৫১ নং স্মারকে ০৩/০৬/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে এজিএম বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বিদ্যুৎ এর সংযোগ প্রাদনে নিশ্চিত করতে। বর্তমানে শিক্ষা অফিস ৫২টি স্কুলের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে।

এব্যপারে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ জি এ মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি এবং ১ সাপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।

প্রসঙ্গত, এসব বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ জি এম(নাসিরনগর) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার ইলেকট্রিসিয়ানদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেন।

তবে নাসিরনগর উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বেগবান করতে বিদ্যুৎ সংযোগ একান্ত জরুরি এবং বিষয়টি মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।






Shares