Main Menu

নাসিরনগরে জয়ী আওয়ামী প্রার্থী

বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকদের হামলায় পুলিশসহ আহত ২৯

+100%-

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ  দিনভর চাপা-উত্তেজনা মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর সংসদীয় আসনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। তিনি ৪০ হাজার ৩৭৬ ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ এক হাজার ১১০ ভোট। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র এস. এ. কে. একরামুজ্জামান পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। মোট ভোটার ছিল ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৭০ জন। মোট ৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে দুইটি কেন্দ্র। কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ২০ কেন্দ্রে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

এদিকে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকদের হামলায় পাঁচ পুলিশ ও নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩০ জন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের জেলাসদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামীলীগের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী নাসিরনগর সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল অন্তরা তঞ্চংগা, পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন, এ এস আই রবিউল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল হামিদুল ইসলাম ও নূর মোহাম্মদ দীপু, নির্বাচনি কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদ আলম মোল্লা, আওয়ামীলীগের নির্বাচনি এজেন্ট এ্যাডভোকেট আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ মোকাদ্দিস ও নিজাম উদ্দিন, আওয়ামীলীগ কর্মী কাসেম মিয়া, আলী আহমদ, আবুল হাসনাত, সোহেল রানা, জিল্লুর মিয়া, দুলাল মিয়া, শেলু মিয়া, গোলাম আলী ভূঁইয়া, সবুজ ভূঁইয়া, মঞ্জু মিয়া, মোহাম্মদ হোসাইন, মিসির আলী, আবু বক্কর ভূঁইয়া, রায়হান ভূঁইয়া, আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া ও আমীরুল ইসলাম। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তিন আনসার সদস্য শাহেদ মিয়া,
মোবারক আলী ও নূর হোসেনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল থেকেই উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দেওয়া শুরু করে ভোটাররা। কিন্তু বেলা বাড়তেই বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকদের হামলার খবর আসতে থাকে।
পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেলা একটার দিকে উপজেলার বিএনপি অধ্যুষিত চাতলপাড় ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায়। এতে ২৮ জন আহত হন। এর আগে উপজেলার নাসিরপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকদের হামলায় আহত হন বিকাশ পাল।
পুলিশের বক্তব্য
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান বলেনÑ উপজেলার ধরম-ল থেকে ভোটশেষে নির্বাচনি কর্মকর্তারা ফেরার পথে গাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। এতে আমাদের পাঁচজন পুলিশসদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

পুনঃভোটের দাবি
এদিকে, ভোটের দিন বিকেলে কেন্দ্রদখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি’র পক্ষ থেকে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটের দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত আবেদনও করেন। এ বিষয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেনÑ মোট ৭৬ কেন্দ্রের মধ্যে চাতলপাড় ইউনিয়নের ধানতলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বভাগ ইউনিয়নের কোয়রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।






Shares