Main Menu

নাসিরনগরে সংবাদ সম্মেলন

প্রশাসনের বিরুদ্ধে নোটিশ ছাড়াই মালিকানাধিন জায়গা থেকে স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক:::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মুখলেছুর রহমান চৌধুরী (৬০) নামের এক ব্যক্তি কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই তাঁর মালিকানাধিন জায়গা থেকে স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে মুখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন, তিনি সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের নাসিরনগর উপজেলা সদরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ মোড়ের বাসিন্দা। তিনি ক্রয়সূত্রে ৬২৫৬ দাগে তিন শতক ভূমির মালিক। ২৫ বছর ধরে তাঁর পাঁচটি পাকা দোকান ঘর রয়েছে। তিনি এগুলো ভাড়া দিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছেন। দোকান ঘরের সামনে ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৬ ফুট প্রস্থের একটি বারান্দা বিদ্যামান ছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি ওই বারান্দার সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু গত ১৩ জানুয়ারি উপজেলা প্রশাসনের সহকারী করিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ভোল্ডড্রেজার দিয়ে তাঁর মালিকানাধিন পাকা ভবনের বারান্দাটি গুড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন অবৈধভাবে তাঁর বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।
মুখলেছুর রহমান দাবি করেন বারান্দাসহ পাকাভবনের সামনের উত্তর দিকের রাস্তাটিও তাঁর নিজ ভূমির ওপর বিদ্যমান। ওই রাস্তার মালিকানা দাবি করে তিনি আদালতে দুটি মামলাও দায়ের করেছেন। এগুলো আদালতে বিচারাধিন রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যের সময় মুখলেচুর রহমান চৌধুরী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি উল্লেখ করেন কোনো নোটিশ ছাড়াই স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার সময় তিনি ভূমির বৈধতার কাগজপত্র দেখানোর জন্য বার বার চেষ্টা করেছেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দের ভয় দেখিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুখলেছুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জাকির হোসেন চৌধুরী (৩০) অভিযোগ করে বলেন,‘ যারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিয়মিত টাকা দিতে পারে তাঁদের স্থাপনা অবৈধ হলেও উচ্ছেদ করে না। আমাদের বৈধ জায়গা। তাই আমরা টাকা দিই না। তাই আমাদের বৈধ স্থ্পনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সালেক আহমেদ বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তাদের ভবনের অবৈধ অংশই উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার বলেন, সরকারি জায়গায় দখল বারান্দা নির্মাণ করেছে। তাই সরকারি জায়গা থেকে ভবনের নতুন বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত ভূমিটি এক নম্বর খাস খতিয়ানের ৬২৫৪ দাগের অন্তর্ভুক্ত। এ জমির মালিক সরকার।’






Shares