Main Menu

নাসিরনগরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা সংস্কারে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধাঃ নাসিরনগর,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃনাসিরনগর উপজেলার মহিন্দুরা ব্রিজ থেকে ধনকুড়া ব্রাক অফিস পর্যন্ত রাস্তায় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নাসিরনগরের হাজার হাজার মানুষকে অবর্ননীয় কষ্ট স্বীকার করে প্রতিদিন এই পথে চলাচল করতে হচ্ছে । দূর থেকে দেখলে মনে হয় সাগরের ঢেউয়ের মত। কিছুদিন আগে এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলেও এ নিয়ে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নাসিরনগর কলেজ মোড় থেকে ধনকুড়া ব্রাক অফিস পর্যন্ত সংস্কারে নিম্নমানের ইট, বালি, নষ্ট কার্পেটিংয়ের উপর কম টেককোট ব্যবহার করে কার্পেটিং করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সড়ক সংস্কার প্রকল্পে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৫২ লক্ষ টাকা  বরাদ্ধ দিয়েছে। এ রাস্তার কাজ পেয়েছে “হাসান বিল্ডার্স” এর মালিক হুমায়ুন কবির নামে এক ঠিকাদার ।

সরেজমিন দেখা যায়, ঠিকাদার তার ইচ্ছেমতো কাজ করছে। পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে  মরা ও নিম্নমানের। সড়কের দুপাশে যে হারে মাটি ফেলার কথা তা করা হচ্ছে না। সংস্কারে নিম্নমানের কাজ করার কারণে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাশেম  নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

সংস্কার কাজ তদারকির জন্য সার্বক্ষণিক প্রকৌশলী থাকার কথা থাকলেও এখানে পর পর ৩ দিন  গিয়েও প্রকৌশলী অনুপস্থিত পাওয়া যায়। প্রকৌশলীর অনুপস্থিতে  গিয়ে দেখা যায় একজন কার্যসহকারীকে। সড়ক সংস্কারের সকল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু জানেননা বলে এড়িয়ে যান। পরে জানা যায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করার জন্য ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ। বাস্তবে সংস্কার যোগ্য রাস্তা ১ কিলোমিটারও হবেনা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে যে পাথর ব্যবহার করার কথা বাস্তবে তা না করে  কিছু ক্ষেত্রে মরা পাথর ব্যবহার এবং ইটের পরিমাণ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী সংস্কার সড়কে ১২ মিলি পিচ ঢালাই করার কথা । বাস্তবে দেখা যায় ৫ মিলির বেশি কোথাও ঢালাই নেই। সড়কের দু’পাশে যে নিয়মে মাটি ফেলার কথা মাটির কোন চিহ্নও পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, সড়ক সংস্কারের অনিয়মের অভিযোগ আমার কাছে অনেকেই করেছে। বিষয়টি যেহেতু সড়ক ও জনপদ বিভাগের তাই আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছিনা। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বিষয়টিবমাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে  জানানো হয়েছে তিনি বিষয়টি নিয়ে জেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলছেন।






Shares